ঢাকেশ্বরী মন্দিরের চেয়েও প্রাচীন একটি মন্দিরের সন্ধান মিলেছে। এক হাজার বছরের বেশি পুরনো এ মন্দিরটি পাল যুগের বলে জানিয়েছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও প্রত্নতত্ত্ববিদের দল দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার মেহেরপুর গ্রামে খনন চালাতে গিয়ে এ মন্দিরের খোঁজ পেয়েছেন।
প্রত্নতত্ত্ববিদেরা মনে করছেন, মন্দিরটি প্রায় ১১শ’ বছরের পুরনো। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক স্বাধীন সেন জানান, মনে করা হচ্ছে মন্দিরটি অষ্টম বা নবম শতাব্দীতে পাল বংশের রাজত্বের সময়ে নির্মিত হয়েছিল।
ওই এলাকায় খননের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, সম্প্রতি চাষের জন্য কৃষকরা সেখানে মাটি খোঁড়ার কাজ করছিলেন। সেই সময় তাদের হাতে কিছু পুরনো ইট উঠে আসে। সেই খবর পেয়ে ওই অঞ্চলে খননকার্য চালায় প্রত্নতত্ত্ববিদের দল।
দলের আরেক সদস্য সোহাগ আলী জানান, মন্দিরের বিগ্রহ ও সিড়ির খোঁজ মিলেছে। সেগুলোকে শিগগিরই খনন করে বের করা হবে।
বস্তুত, কয়েক মাস আগেই কাছের বাসুদেবপুর গ্রাম থেকে এই মন্দিরের প্রায় সমসাময়িক সময়ে তৈরি একটি বৌদ্ধ মন্দিরকে খনন করে বের করা হয়েছিল। ওই মন্দিরের চাতালের দৈর্ঘ্য ছিল ৪৫ মিটার। সেই সময়ও খননকার্যের দায়িত্বে ছিল এই দলই।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের জাতীয় মন্দির, ঢাকেশ্বরী মন্দিরটি আনুমানিক দ্বাদশ শতাব্দীতে সেন বংশের রাজা বল্লাল সেনের রাজত্বকালে তৈরি হয়েছিল। ইতিহাস অনুযায়ী, সেন বংশের আগে পাল বংশ রাজত্ব করেছিল। সেইদিক দিয়ে দিনাজপুরের এই খনন হওয়া মন্দিরটি বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন বলা যেতেই পারে।