স্বামীসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের অনুমতি না পাওয়ার ভয়ে গোপনেই প্লাস্টিক সার্জারি করাচ্ছেন সৌদি আরবের হাজার হাজার নারী। আর তাদের বয়স ২৮ থেকে ৩৭ বছরের মধ্যে। সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার এ খবর জানিয়েছে দেশটির প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম আরব নিউজ।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি মন্ত্রণালয় প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ১৪ হাজার ৪১২ জন নারী ফেসলিফ্ট সার্জারি করিয়েছেন। এ তালিকায় সবার উপরে রয়েছে সৌদির রাজধানী রিয়াদের নারীরা। সেখানকার প্রায় ৮ হাজার ৫০৪ নারী এই সার্জারির আশ্রয় নিয়েছেন। এরপরই রয়েছে বন্দরনগরী জেদ্দার নারীরা। সেখানকার প্রায় ৩ হাজার ৩৮৪ নারী ফেসলিফ্ট সার্জারি করিয়েছেন।
তবে বিশ্বব্যাপী পছন্দের তালিকায় ব্রেস্ট সার্জারি সবার উপরে থাকলেও সৌদি নারীদের ক্ষেত্রে বৈপরীত্য দেখা গেছে। দেশটিতে মূলত অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে চেহারায় উজ্জ্বলতা আনতে অধিকাংশ নারী সার্জারির আশ্রয় নিচ্ছেন।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞ নয় বা যারা রোগীর স্বার্থের চেয়ে অর্থকেই বড় করে দেখে; দেশ-বিদেশের এমন ডাক্তারদের কাছে সার্জারি করা থেকে বিরত রাখতে নারীদের সতর্ক করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
দেশটির সালওয়া ক্লিনিকস কনসাল্টিংয়ের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ওয়ায়েন বলেন, নারীদের সার্জারি করার পেছনে মূল কারণ চেহারা নিয়ে আত্মবিশ্বাসের অভাব। তাই ভবিষ্যতে দাম্পত্য সমস্যা এড়াতে সার্জারি করার বিষয়টি স্বামীর কাছে গোপন না রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
রিয়াদের মিলিটারি হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি কনসাল্ট্যান্ট ডাক্তার আইমান হেলমি বলেন, স্বামীর অনুমতি ছাড়া খুব সাধারণ হলেও আমি এ ধরনের সার্জারি করি না। অনেক নারী আছে যারা শুধু অন্যকে আকৃষ্ট করতেই সার্জারির আশ্রয় নিচ্ছেন।
ডারমাটোলজি ও বিউটি কনসাল্ট্যান্ট ডাক্তার আলা-আতাল্লাহ বলেন, গত ৩ বছরে সৌদিতে সার্জারির চাহিদা বেড়েছে ৫০ শতাংশ। বর্তমানে ৪০ শতাংশেরও বেশি সৌদি নারী বিউটি পার্লারে যান বলেও জানান তিনি।