Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

electionছাবরিনা আক্তার। তিনি ভোট দিতে গিয়েছিলেন রাজধানীর সেগুন বাগিচার ৩৭২ নম্বর ভোট কেন্দ্রে। ছাবরিনাসহ আটজন মহিলা সকাল সাড়ে ১০টায় ভোট দিতে যান। কিন্তু ভোট কেন্দ্রে ঢুকেই ছাত্রলীগ ও যুবলীগের বাধার মুথে পড়েন। তারা ছাবরিনাদেরকে বলেন, ‘আপনারা চলে যান। আপনাদের ভোট দিতে হবে না। ভোট হয়ে গেছে।’

মুখে আনন্দ নিয়ে ভোট দিতে গেলেও কেন্দ্র থেকে এমন আচরণে নিমিষেই হতাশ হয়ে যান তারা। ছাবরিনা বলেন, ‘সরকারের তাহলে ভোটের আয়োজন করার কী দরকার ছিল। ভোট তো তারাই দিয়ে দিছে। তাহলে আমাদের ভোটের কি মূল্য রইল।’

chardike-ad

এই অবস্থা শুধু সেগুন বাগিচা কেন্দ্রের নয়, এটি ঢাকা দক্ষিণের অধিকাংশ কেন্দ্রেরই একই অবস্থা। প্রায় কেন্দ্রে বিএনপি সমর্থক প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। ভোটারদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি।

গেন্ডারিয়ার ফরিদাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকালে দুইজন ভোট দিতে পারেনি। তারা হলেন নজরুল ইসলাম ও রুমি আহমেদ। তারা সকাল ৯টা ৩৮ মিনিটে ভোট কেন্দ্রে যান। কিন্তু গিয়ে দেখেন তাদের ভোট আগেই দেয়া হয়ে গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ বছর চ্যালেঞ্জ ভোট দেয়ার অফশন রাখা হয়নি। তাই চ্যালেঞ্জ ভোট নেয়া সম্ভব হয়নি।

চ্যালেঞ্জ ভোট হচ্ছে কেউ যদি ভোট না দিয়ে থাকে তারপরেও যদি তার ভোট দেয়া হয়ে যায় তাহলে সেখানে চ্যালেঞ্জ ভোট দেয়ার সুযোগ থাকে। আর সেই নিয়ম অনুযায়ী যে কয়জন ভোট দিতে পারেনি সেই ভোটগুলো মোট ভোট থেকে বাদ পড়ে।