চীনের কিছু কিছু গ্রামে কেউ মারা গেলে তার শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যাতে বেশি লোক সমাগম হয় – সে জন্য উলঙ্গ নৃত্যানুষ্ঠানের যে বিচিত্র প্রথা আছে – তা নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এই নগ্ন নৃত্যের আয়োজকদের বিশ্বাস, শেষকৃত্যে বেশি লোক হলে মৃতের কল্যাণ হবে। তা ছাড়া শেষকৃত্যে যত বেশি লোকসমাগম হবে, মৃত ব্যক্তির জন্য তা তত বেশি সম্মানজনক বলে ধরা হয়। সে জন্যই লোক আকৃষ্ট করতে এই নগ্ন নৃত্যের আয়োজনের রীতি। এ জন্য বিশেষ ধরণের নাচিয়ে বা ‘স্ট্রিপার’দের দলও আছে বলে জানা যায়।
কিন্তু চীনের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এখন তাদের ভাষায় এই ‘অসভ্য’ প্রথার অবসান ঘটানোর চেষ্টা করছে। এক বিবৃতি দিয়ে মন্ত্রণালয় এ ধরণের ‘অশ্লীল অনুষ্ঠান’ আয়োজনের কঠোর নিন্দা করেছে। সম্প্রতি চীনের উত্তরাঞ্চলের হেবেই এবং পূর্বাঞ্চলীয় জিয়াংসু প্রদেশে দুটি শেষকৃত্যানুষ্ঠানের সময় উলঙ্গ নৃত্যের আয়োজন করা হয়। এর পর কর্তৃপক্ষ আয়োজক এবং নাচের দলটির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়।
অবশ্য এ প্রথার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ এর আগেও নিয়েছে চীনা কর্তৃপক্ষ. কিন্তু ব্যাপারটা বন্ধ হয় নি। কিন্তু এবার কর্মকর্তারা, বলা যায়, আদাজল খেয়ে লেগেছেন যে এটা বন্ধ করতেই হবে। চীনের বার্তা সংস্থা শিনহুয়াও এর সমালোচনা করেছে।
তবে মজার ব্যাপার হলো, সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইটগুলোতে অনেকের প্রতিক্রিয়াতে বোঝা যাচ্ছে যে তারা আদৌ জানতেনই না যে চীনে এরকম একটা প্রথা চালু আছে। বিষয়টা জানার পর এরা অনেকেই তাদের বিতৃষ্ণা প্রকাশ করেছেন। একজন বলেছেন, “আমি বুঝতেই পারছি না যে এটা কি করে নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে।”
অন্য অনেকে মজাও পেয়েছেন। একজনের মন্তব্য: “অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সময় উলঙ্গ নৃত্য? মেরেছে! এটা আবার কি ধরণের ঐতিহ্য?”
বিবিসি