Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

marriageবিয়ের আসর। বাড়ি ভরতি লোকজন। বিয়ের প্রস্ত্ততিও সাঙ্গ। কিন্তু আসরে এসে অজ্ঞান হয়ে গেল বর-বাবাজী। চিকিতসকের কাছে নিয়ে গেলে জানা গেল তিনি মৃগী রোগী। এতেই বেঁকে বসলেন স্বয়ং পাত্রী। কারণ, পাত্র যে মৃগীর রোগী। তাই বিয়ে করতে নারাজ তিনি। অবশেষে মিলল সমাধানের উপায়ও। পাত্রের ভাইয়ের সঙ্গেই বিয়ে দেয়া হলো কনের। ঘটনাটি ঘটেছে কানপুরের ঘতমপুরের বৈরিখেদা গ্রামে।

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের কানপুরের সাচেন্দি এলাকার ধর্মঙ্গদপুর গ্রামের এক পাত্রের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয় বৈরিখেদা গ্রামের ওই মেয়েটির। সব ঠিকঠাকই ছিল। বিপত্তি ঘটল বিয়ের আসরে। পাত্র বিয়ের আসরে আসামাত্রই জ্ঞান হারালেন। তাঁকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা জানান তিনি মৃগী রোগী। ঘন্টা দুই বাদে সুস্থ হলেও বিয়ের পিঁড়িতে বসা হলো না তার।

chardike-ad

কারণ ততক্ষণে বিয়ের মন্ডপ ছেড়ে উঠে গেছেন কনে। তিনি বলেন ‘ফিট ব্যামোর রুগীকে কিছুতেই বিয়ে করব না আমি’।

অনেক বোঝালেও নিজের সিদ্ধান্তে থেকে সড়ানো যায়নি পাত্রীকে। অবশেষে দুইপক্ষ পঞ্চায়েতের আশ্রয় নেয়। উভয় পক্ষ থেকেই যখন মিলছে না কোনো সমাধান সূত্র। এদিকে সেই লগ্নে বিয়ে না হলে লগ্নভ্রষ্টা হয়ে যাবে মেয়েটি। অনেক ভেবেও যখন মিলছে না উপায়, তখন কনেই প্রস্তাব দেয় বরের ভাইকে বিয়ে করার। শেষপর্যন্ত হবু দেওরের গলাতেই মালা পরান কনে।

ঘতমপুরের স্টেশন হাউস অফিসার অশোক কুমার সিংহ জানিয়েছেন, না জানিয়ে এক মৃগী রোগীর সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করায় মেয়েপক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করার কথা ভেবেছিল। কিন্তু যেহেতু ওই বাড়িরই অপর এক ছেলের সঙ্গে মেয়েটির বিয়ে হয়ে গেছে, তাই এক্ষেত্রে পুলিশের আর করার কিছুই নেই। তিনি এই সিদ্ধান্তের প্রশংসাও করেছেন।

নয়া দিগন্ত