১৯৯৯ সালে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে ৬২ রানে হেরেছিল পাকিস্তান। ওই ম্যাচে পরাজিত দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন শোয়েব আখতার। পাকিস্তান যেন ওই হারের প্রতিশোধ নিয়েছে ১৬ বছর ধরে। কোনো ধরনের ক্রিকেটেই বাংলাদেশকে জিততে দেয়নি তারা। তাদের বিপক্ষে টাইগারদের জয় যেন সোনার হরিণে পরিণত হয়েছিল।
অবশেষে সেই সোনার হরিণ ধরা দিয়েছে বাঘের কাছে। আর সেটা এত সহজে ধরা দিল যে, বিজয়ী এবং বিজিত সবার কল্পনাকে ছাড়িয়ে গেছে। পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে ছেড়েছেন মাশরাফি-সাকিবরা। এতে শোয়েব আখতারের মনটা ভীষণ খারাপ। লজ্জায় নাকি কোথাও বের হতে পারছেন না তিনি।
এ বিষয়ে পাকিস্তানের একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শোয়েব বলেন, ‘আমি লজ্জায় কোথাও বের হতে পারছি না। যাদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে তাদের মুখে একই রব, ক্রিকেটে পাকিস্তানের নাজুক অবস্থা।’
আজহার আলীর নেতৃত্বে যে দলটি বাংলাদেশে এসেছে, এ দলটাকে দুর্বলই মনে করছেন শোয়েব আখতার। তবে পাকিস্তানের ক্রিকেটে যে বাংলাওয়াশের কলঙ্ক লাগবে, সেটা ভাবেননি প্রাক্তন এই তারকা পেসার। তিনি বলেন, ‘আজহারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফরে যাওয়া পাকিস্তান দল ততটা শক্তিশালী ছিল না। কিন্তু এতটা দুর্বল ছিল না যে সিরিজে কোনো ম্যাচেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবে না। ওয়ানডেতে তরুণ দল ছিল বলে সেটা মানা যায়। কিন্তু শহিদ আফ্রিদির মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার থাকতেও টি-২০ ম্যাচেও যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলো না, এতে আমি খুবই হতাশ। অপরদিকে বাংলাদেশ দলের প্রশংসা করতেই হয়, সত্যিই দারুণ ক্রিকেট খেলছে তারা।’