সৌদি আরবের মক্কায় গড়ে উঠতে যাচ্ছে হালাল সেক্স শপ। শিগশিগরই এটা চালু হবে বলে জানিয়েছেন, দোকানের মালিক আবদেল আজিজ আওরাফ। তিনি জানান, তার দোকানের সব পণ্য হালাল। মূলত বিবাহিত দম্পতিদের যৌন জীবন সুখী করতে এই পদক্ষেপ। তার দোকানে ফোলানো যায় এমন কোনো পুতুল থাকবে না। কিন্তু এসব পণ্য বিবাহিত দম্পতিদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কের জন্য একটা আবহ তৈরি করতে সহায়তা করবে এবং তারা যৌন সম্পর্ক করতে উদ্বুদ্ধ হবে। খবর মেইল অনলাইনের।
আবদেল আজিজ আওরাফ বলেন, জার্মান কোম্পানি বিয়েতে উহেসের সহযোগিতায় এই দোকান চালু হচ্ছে। ইউরোপের বাজারে যৌন পণ্য উৎপাদনে অন্যতম বড় কোম্পানি এই বিয়েতে উহেসে।
আওরাফ জানিয়েছেন, তার দোকানে ইসলামসম্মত ১৮ টি যৌন পণ্য পাওয়া যাবে। মুসলমানদের সাধারণত যৌনতার দিক থেকে খুব বেশি জড়িয়ে পড়তে কম দেখা যায়। অনেকে মনে করেন, মুসলমান মেয়েরা বিয়ের মাধ্যমে যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে দমনের শিকার হন।
তিনি বলেন, এই নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তিনি বদলাতে চান। ধারণা আছে যে, মুসলমান মেয়েরা রান্নাঘরে বুরকা পরে থাকে। এমন চিত্র আসলে সত্যি নয়।
তিনি আরও বলেন, ইসলামে নারীদের অনেক সম্মান ও ভালোবাসা দিয়েছে। আমাদের দোকানে মেয়েরাই আকর্ষণের মূল কেন্দ্রে থাকবে। এখানে যৌনতা সম্পর্কে নারীদের তথ্য দেয়া হবে এবং এ সম্পর্কে তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেয়া হবে।
মরক্কোর নাগরিক আওরাফ এএফপিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, দোকান চালুর বিষয়ে সৌদি আরবের ইসলামি চিন্তাবিদদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে তারাই এই দোকান খোলার অনুমতি দিয়েছেন। কয়েক বছর আগে আওরাফ আমস্টারডামে যৌন পণ্যের দোকান খোলেন। তিনি সফলও হয়েছেন।
২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো তুরস্কে হালাল সেক্স শপ চালু হয়। কিন্তু এর আগে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সেক্স শপ থাকলেও মুসলমানরা এর প্রতি তেমন আকৃষ্ট হননি। নারীদের অন্তর্বাস বিক্রিতে খ্যাতি পাওয়া অ্যান সামারসও মক্কাসহ মধ্যপ্রাচ্যে ২২টি দোকান খোলার অনুমতি পেয়েছে। আগামী অক্টোবরেই কুয়েতে একটি সেক্স শপ চালু করতে যাচ্ছে তারা।
ব্রিটেনে মুসলিম সংসদ সদস্য নোশাবা হোসেইন বলেন, তিনি বিদেশি অফিস তথা সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলবেন যাতে দোকানগুলো চালু না করতে দেয়া হয়। কাদেরকে এই সব পণ্য কিনতে বাধ্য করা হবে? মুসলমানরা যখন পবিত্র শহর মক্কায় যাবেন তখন তারা কেবল তারা প্রার্থণার জন্যই যাবে। তবে মাকায়েই’র চেয়ারম্যান মোহাম্মেদ আইয়েদ আলেনেইজি তার ব্যাখ্যাকে সমর্থন করেন না।
তিনি মনে করেন, সুন্দর এবং যৌন উদ্রেককারী অন্তর্বাস ইসলামবিরোধী নয়। কিছু মুসলিম চিন্তাবিদ মনে করেন, বিবাহিত দম্পতিরা যৌন কামনা উদ্রেককারী আন্ডারওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন।