Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

hasina
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে উৎসাহ দিতে সদা প্রস্তুত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমনকি টাইগারদের খেলা দেখতে ছুটে যান মাঠেও। গ্যালারিতে অন্য দশজনের মতো নিজেও হয়ে যান টাইগার-সমর্থক। হাতে থাকে বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা। দল জিতলে তার হাতে পতপত করে উড়তে থাকে সেই পতাকা।

এ ছাড়া ক্রিকেটের সুসময় কিংবা দুঃসময়ে পাশে থাকেন তিনি। যোগ্য অভিভাবকের কাজটা রীতিমতো করে যাচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। প্রমাণ মিলল রোববার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। বারবার ক্যামেরার ফোকাসে আসছিলেন দেশনেত্রী।

chardike-ad

তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম তখন মাঠ কাঁপাচ্ছিলেন। পাকিস্তানি বোলারদের কড়া শাসন করছিলেন জয়ের দুই নায়ক। তারা যখন চার-ছক্কা হাঁকাচ্ছিলেন, উচ্ছ্বাস ধরে রাখতে পারেননি শেখ হাসিনা। হাত নেড়ে টাইগারদের উৎসাহ জুগিয়েছেন তিনি।

তামিমের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি আর দুরন্ত মুশফিকের অসাধারণ হাফ সেঞ্চুরিতে ১১.৫ ওভার হাতে রেখে বাংলাদেশ যখন ৭ উইকেটে জয় তুলে নেয়, তখনই চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। কিছুটা সামনে এগিয়ে মাশরাফি-সাকিবদের উদ্দেশে হাত নেড়ে অভিনন্দন জানান তিনি। ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। স্টেডিয়ামে সেই ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকলেন দেশের অভিভাবক।

এদিকে সিরিজ নিষ্পত্তির ম্যাচে বাংলাদেশের সঙ্গে সেয়ানে-সেয়ানে লড়াই করবে পাকিস্তান ক্রিকেট দল, এমনটাই হয়তো ভেবেছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু ম্যাচ শেষে হলো আরেকভাবে! বলতে গেলে লড়াইটা হয়েছে একপেশে। প্রধানমন্ত্রীর ভাবনার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায় বিসিবি পরিচালক ও সাংসদ নাঈমুর রহমানের ভাষ্যে, ‘প্রধানমন্ত্রী খুবই আনন্দিত। বারবার বলছিলেন, বাংলাদেশ দল পাকিস্তানের বিপক্ষে ১২ ওভার বাকি থাকতে জিতে যাচ্ছে, এ তো ভাবাই যায় না!’

মোদ্দা কথা, ক্রিকেটে টাইগাররা এতটাই উন্নতি করেছেন, যা স্বপ্নকেও ছাড়িয়ে গেছে। এবার পাকিস্তানকে বাংলাওয়াশের পালা। দেখা যাক, কী হয়।