নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় কাওরান বাজারে হামরার শিকার হয়েছেন খালেদা জিয়া। বিএনপির পক্ষ থেকে এ হামলার জন্য সরকারকে দায়ী করলেও প্রধানমন্ত্রীপুত্র ও আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, তিনি আসলে জনরোষের শিকার হয়েছেন। গাড়িবহরে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে জনগণ ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার গাড়িবহর হামলার শিকার হওয়ার কিছু পর নিজের ফেসবুক পেজে এমন মন্তব্য লেখেন জয়।
যদিও ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকরা বলেছেন ‘জয়বাংলা’ স্লোগানে এ হামলা হয়। এসময় বেশক’টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয় এবং কমপক্ষে চার জন আহত হন। খালেদা জিয়ার গাড়িতে রক্ত লেগে থাকতে দেখা গেছে। আর প্রধানমন্ত্রী এ ঘটনাকে খালেদা জিয়ার ‘নাটক’ বলে অভিহিত করেছেন। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘কোথাও কারো ওপর হামলার ঘটনা ঘটেনি।’
জয়ের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো:
People of Dhaka are quite angry at Khaleda Zia for burning 160 people to death and injuring many others on buses and public transportation during the past three months. I think those who attacked her motorcade with brick brats today are probably expressing this anger. We from the Awami League do not condone violence and this attack, but we also cannot control people’s anger.
Those innocent victims deserve justice. Khaleda Zia and the BNP must be brought to justice for their heinous and cowardly arson attacks. Throwing bricks at her motorcade is not the way to do this.
বিগত তিন মাস যাবৎ বাসে এবং গণপরিবহনে অগ্নীসংযোগ করে কমপক্ষে ১৬০জন হত্যা এবং আরও অসংখ্য মানুষকে আহত করায় ঢাকাবাসী খালেদা জিয়ার উপর ভীষণ ক্ষিপ্ত। আমি মনে করি যারা আজ তার গাড়ীবহরে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেছে তা তাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। আমরা আওয়ামী লীগ যেকোন সহিংসতা এবং এই ধরণের হামলা সমর্থন করি না, কিন্তু এটাও ঠিক যে আমরা জনগণের রাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না।
সহিংসতার শিকার ঐ নিরপরাধ আক্রান্তদের ন্যায়বিচার প্রাপ্য। খালেদা জিয়া এবং বিএনপিকে তাদের জঘন্য এবং কাপুরুষোচিত জ্বালাওপোড়াও এর জন্য আইনের আওতায় আনা দরকার।গাড়িবহরে ইট নিক্ষেপ করাটা কোনো উপায় হতে পারেনা।