এই কিছুদিন আগে জার্মানির একটা বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। সব যাত্রী মারা গেছেন। খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। ঘটনার সময় পাইলট নাকি ককপিট থেকে একটু বাইরে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে দেখেন ককপিটের দরজা ভেতর থেকে কো-পাইলট লক করে দিয়েছে। তারপর তো সেই মর্মান্তিক বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা!
অনুসন্ধানে জানা গেছে বিমানের কো-পাইলট মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। সে তার এক্স প্রেমিকাকে নাকি বলেছিল, ‘একদিন আমিও বিখ্যাত হবো। সবাই আমাকে চিনবে।’ হ্যাঁ, আমরা সত্যিই তাকে চিনেছি।
মারা যাওয়া যাত্রীদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই একটা গল্প বলি-
একটা বোয়িং সেভেন জিরো সেভেন যাত্রা শুরু করেছে ইন্টারন্যাশনাল রুটে। ককপিটে বসে আছে পাইলট রবিনসন, আর কো-পাইলট জন। সিনিয়র পাইলট হঠাৎ সন্দেহজনক দৃষ্টিতে তরুণ কো-পাইলটের দিকে তাকাল। বলল, জন?
বলুন।
তুমি মানসিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ তো?
অবশ্যই স্যার।
ঠিক তো?
অবশ্যই। সন্দেহ হলে বলুন আমার পারিবারিক ডাক্তারকে ডাকি।
মানে! সে কোথায়?
সে এই বিমানের যাত্রী হিসেবে আমাদের সঙ্গেই যাচ্ছে।
বলো কি! তাকে ডাকো। আমি জার্মানির ঐ ঘটনার পর কো-পাইলটদের ব্যাপারে সত্যি সত্যিই নিশ্চিত হতে চাই।
কো-পাইলট উঠে গেল ঐ বিমানেই যাত্রী হিসেবে থাকা তার পারিবারিক ডাক্তারকে ডাকতে। তাকে নিয়ে ফিরে এসে সে দেখল ককপিটের দরজা লক। তারপর?
আবার বিমান বিধ্বস্ত! ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি!
আবার একটি বিমান উড়ছে (না এবারেরটা বিধ্বস্ত হবে না)। হঠাৎ ককপিট থেকে পাইলটের আর্তনাদ শোনা গেল। বিমানের যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে ককপিটের সামনে ভিড় করল। পাইলটের কী হলো? কিন্তু না, ভয়ের কিছু নেই। একটু পরেই পাইলট ককপিটের বাইরে এসে হাসি মুখে বলল, ‘না না ভয়ের কিছু নেই। আসলে গরম কফি খাচ্ছিলাম। হঠাৎ হাত ফসকে আমার জামাটা নষ্ট হলো!’
কিন্তু আমাদের যে প্যান্ট নষ্ট হলো তার কী হবে? ফার্স্টক্লাশের যাত্রীরা বিমর্ষমুখে বলল।
ককপিট থেকে একটু পিছনে সরে আসি বরং।
আবার একটি আন্তর্জাতিক বিমান উড়ছে। পিছনের সিটে বসা একটা টিয়া পাখি। সে কুৎসিত ভাষায় চেঁচামেচি করছে এয়ার হোস্টেসদের উদ্দেশ্যে। চেঁচিয়ে তাদের চা, কফি দিতে বলছে। পাশের এক যাত্রী খেয়াল করল টিয়া পাখি কুৎসিত ভাষায় গালি দেওয়ার কারণে এয়ার হোস্টেসরা দ্রুততম সময়ে টিয়া পাখিটাকে খাবার দিয়ে গেল। ঐ যাত্রীও কিছুক্ষণ ধরে কফি চাইছিল। কিন্তু এয়ার হোস্টেসরা কোনো কারণে দেরী করছিল। তখন লোকটি টিয়া পাখির লাইন ধরল। অর্থাৎ কুৎসিত ভাষায় গালি দিতে শুরু করল এয়ার হোস্টেসদের। তবে এ ক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হলো। এয়ার হেস্টেসরা গিয়ে পাইলটকে নালিশ করল। বিশাল দেহী পাইলট ছুটে এসে ঐ যাত্রী আর টিয়া পাখিকে প্লেনের দরজা খুলে বাইরে ছুড়ে দিল। হতভম্ব যাত্রী গুলির মত নিচে পড়ছিল। পাশ দিয়ে উড়তে উড়তে টিয়া বলল, ‘আরে বোকা আমি উড়তে জানি বলেই না গালি দেওয়ার ঝুঁকি নিয়েছিলাম। কিন্তু তুমি কী মনে করে এমন ঝুঁকি নিলে?’
সূত্রঃ রাইজিংবিডি