Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

biman-carsh

পাখিকে দেখে মানুষের সর্বপ্রথম আকাশে উড়ার বাসনা জাগে। অনেক চড়াই উতরাই আর পরীক্ষার ভেতর দিয়ে আবিষ্কৃত হয় উড়োজাহাজ। যুক্তরাষ্ট্রের উইলভার রাইট ও অলিভার রাইট ভাতৃদ্বয় আকাশে সর্বপ্রথম পাখাযুক্ত যন্ত্রে বসে উড়ে বেড়ান। এই দুই ভাই যাদের কাছে গোটা পৃথিবী ঋণী, তারা আজ বেঁচে নেই। কিন্তু তারা বেঁচে থাকলে নির্ঘ্যাৎ কষ্ট পেতেন এই ভেবে যে গত আট মাসে তাদেরই আবিষ্কৃত উড়োজাহাজ মোট ২৭ বার দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। আর প্রায় প্রতিটি দুর্ঘটনাতেই মারা গেছে অনেক মানুষ। দেশে দেশে শোকার্ত পরিবারগুলোর আহাজারিতে ভারি হয়ে যাচ্ছে বাতাস।

chardike-ad

এই দুর্ঘটনাগুলোর জন্য অনেক বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে দায়ি করা হচ্ছে। কোথাও বলা হচ্ছে পাইলট মাতাল ছিল বলে, আবার কোথাও বলা হচ্ছে পাইলট হতাশাগ্রস্ত ছিল বলে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। দেশি-বিদেশি পত্রিকাগুলো একই সুরে সুর মেলাচ্ছেন, যা ওই তদন্তকারী দলগুলো প্রেসক্রিপশন হিসেবে মিডিয়ার সামনে তুলে ধরছে। অথচ কোথাও বলা হচ্ছে না, দুর্ঘটনায় কবলিত বিমানগুলোর বেশিরভাগই বোয়িং বিমান এবং সেগুলো যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, সর্বশেষ বিশ্ব আর্থিক মন্দার সময় যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাণিজ্যে ব্যাপক ধস নামে। সেসময় দেশটির নেভাদার মরুভূমিতে অবিক্রিত এবং ক্রুটিযুক্ত বিমানগুলোকে রাখা হয়। ২০১০ সাল পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্র তার ত্রুটিযুক্ত বিমানগুলোকে বিশেষত এশিয়া এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে বিক্রি করে দেয়া হয়।

জুলাই ২, ২০১৪
কেনিয়ার রাজধানী নাইরুবি থেকে সোমালিয়ার মোগাদিসুতে যাওয়ার সময় বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। জোমো কেনিয়াত বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষন পরেই নাইরুবির নিকটবর্তী একটি বাণিজ্যিক ভবনে আছড়ে পড়ে বিমানটি। এতে ঘটনাস্থলেই চারজন মানুষ মারা যায় এবং অনেকে আহত হয়। স্কাইইয়ার্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাভিয়েশনের নিয়ন্ত্রানাধীন বিমানটি ছিল মূলত ফকার ৫০। কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ একটি কোম্পানি এই বিমানটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। বিশ্ব আর্থিক মন্দার কবলে এই প্রতিষ্ঠানটিও প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

জুলাই ৫, ২০১৪
পোল্যান্ডের নিকটবর্তী চেশ্চোয়ো এলাকার বিমান উড্ডয়ন স্কুলের একটি প্রশিক্ষণ বিমান ভূপাতিত হয়ে এগার জন নিহত ও একজন আহত হয়। বিমান বিষয়ক গবেষকদের মতে, পাইপার পিএ-৩১পি নামের বিমানটি অতিরিক্ত ওজন বহন করায় উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই ভূপাতিত হয়। বিমানটি প্যারাট্রুপারদের প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহার করা হতো।

জুলাই ৭, ২০১৪
ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয় থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে থ্যাচ থ্যাট জেলায় ২১জন যাত্রী নিয়ে একটি হেলিকপ্টার ধ্বংস হয়ে যায়। সেনাবাহিনীর নিয়মিত সদস্যদের প্যারাসুট দিয়ে অবতারণের জন্য প্রশিক্ষণের কাজে এই হেলিকপ্টারটি ব্যবহার করা হতো। দুর্ঘটনার কারণ উদ্ধার করা না যাওয়ায় শেষমেষ অতিরিক্ত ওজনকেই কারণ হিসেবে দেখানো হচ্ছে। উড্ডয়নের মাত্র ১৫ মিনিটের ব্যবধানে দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই ১৮ জন মানুষ মারা যায়। এই হেলিকপ্টারটিও যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত।

জুলাই ১৭, ২০১৪
আমস্টারর্ডাম থেকে কুয়ালালামপুরগামী বোয়িং ৭৭৭-২০০ইআর ফ্লাইটটি উড্ডয়নের ৯০ মিনিট পর ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপনযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ধ্বংস হয়ে যায়। বিমানটিতে মোট যাত্রীর সংখ্যা ছিল ২৮৪ জন, যাদের মধ্যে ১৫জন ছিল ক্রু। যাত্রী এবং ক্রুদের সবাই মারা যায়। বিমান দুর্ঘটনার ইতিহাসে এটা অষ্টম বড় ঘটনা। প্রথমদিকে এই হামলার জন্য রুশপন্থী বিদ্রোহীদের দোষারোপ করা হলেও পরবর্তীতে জানা যায় ইউক্রেনের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতেই এই বোয়িংটি ধ্বংস হয়ে যায়।

জুলাই ২৩, ২০১৪
থাওসিং থেকে মাগংয়ের দিকে যাবার সময় তাইওয়ানের এটিআর ৭২-৫০০ ফ্লাইটটি উড্ডয়নের পরপরই সমস্যায় আক্রান্ত হয়। এরপর জরুরী অবতারণের চেষ্টা করলে একটি আবাসিক এলাকায় আছড়ে পড়ে বিমানটি। এতে ৪৭জন যাত্রী মারা যায়। পরবর্তীতে বিমান গবেষকরা জানান, মাতমো ঘুর্ণিঝড়ে আক্রান্ত হওয়ার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।

জুলাই ২৪, ২০১৪
উড্ডয়নের ৫০ মিনিটের মাথায় নিয়ন্ত্রন কক্ষের সঙ্গে সকল যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে যায় ডগলাস এমডি-৮৩ বিমানের। বুরকিনা ফাসোর অওয়াঙদোগৌ থেকে আলজেরিয়ার আলজিয়ার্সে যাবার পথে মালির আগুলহকের মরুভূমিতে বিধ্বস্ত হয়ে যায় বিমানটি। ফ্লাইটটিতে থাকা ১১৬ জন আরোহীর মধ্যে একজনকেও জীবিত পাওয়া যায়নি। খারাপ আবহাওয়ার কারণে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছিল। দুর্ভাগ্যবশত এই বিমানটিও যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত।

আগস্ট ১০, ২০১৪
তেহরান থেকে তাবাসে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার শিকার হয় বিমানটি। উড্ডয়নের কিছু সময় পরেই নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলে এইচইএসএ ইরান-১৪০-১০০ ফ্লাইটটি। দুর্ঘটনায় ৪৮জন আরোহীর মধ্যে ৩৯জনই মারা যায়। তবে পরবর্তীতে বিশেষজ্ঞরা জানান, উড্ডয়নের সময়ই বিমানটির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মাঝআকশে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

আগস্ট ১৩, ২০১৪
ব্রাজিলের রিওডিজেনেরিও থেকে গুয়ারুজাতে যাওয়ার পথে বিধ্বস্ত হয়ে যায় সেসনা ৫৬০-এক্সএলএস বিমানটি। বিমানবন্দর থেকে মাত্র তিন কিলোমিটর দূরত্বে সাতজন আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানে সবাই মারা যায়। সন্দেহ করা হয় বিমানটিকে সাবোটাজ করা হয় ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী এডুয়ার্ডো ক্যাম্পোসকে হত্যার উদ্দেশ্যে।

আগস্ট ১৬, ২০১৪
সেন্ট জন থেকে মানানে যাওয়ার পথে ৪জন আরোহী নিয়ে পাইপার পিএ-২১ চিকিৎসা বিমানটি ভূপাতিত হয়। এতে দুই জন মারা যায়। আটলান্টিক চার্টারের এই বিমানটিও যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে এই সিরিজের বিমান ২০০০ সালেই নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

আগস্ট ২৭, ২০১৪
নিউ মেক্সিকোর লাস ক্রুসেস অঞ্চলে সেসনা ৪২১সি গোল্ডেন ঈগল বিমানটি চারজন আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হয়ে যায়। অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয় ইঞ্জিনে আগুন ধরে যাওয়ার কারণে বিমানটি ধ্বংস হয়ে যায়। বিমানে থাকা সব আরোহীই মাটিতে ভূপাতিত হওয়ার আগেই মারা যায়। এই বিমানটি দিয়ে অসুস্থ রোগিদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হতো।

আগস্ট ৩০, ২০১৪
আন্তনভ এএন-১২বিকে নামের রাশিয়ান এই মালবাহী বিমানটি আলজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় পাহাড়ি এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরত্বে এই ঘটনা ঘটে। বিমানে থাকা সাতজন যাত্রীদের সবাই মারা যায়।

আগস্ট ৩১, ২০১৪
তাঞ্জানিয়ার মাওয়ানজা নামক স্থানে ফকার এফ-২৭ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার কোনো ব্যাখ্যা এখন পর্যন্ত দেয়া হয়নি তাঞ্জানিয়া কর্তৃপক্ষ থেকে। আরোহী তিনজনই মারা যায় এই দুর্ঘটনায়। বিমানটি সাফারি অঞ্চলে ঘুরে বেড়ানোর কাজে ব্যবহত হতো।

সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৪
পাইপার পিএ-৩১ বিমানটি আরারাকুয়ারা থেকে ফ্লোরেন্সিয়া যাওয়ার পথে দশজন যাত্রী নিয়ে ভূপাতিত হয় এবং আরোহীদের সবাই মারা যায়। নির্ধারিত রুটের বাইরে চলে যাওয়ায় এবং বাজে আবহাওয়ার শিকার হয়ে পোর্ট স্যানটানদারের জঙ্গলে আছড়ে পড়ে বিমানটি।

সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৪
পাপুয়া নিউগিনির নিয়ার পোর্ট মোর্সবে অঞ্চলে উইতেপ থেকে মোর্সবে যাওয়ার পথে কানাডা ডিএইচসি ফ্লাইটটি বিধ্বস্ত হয়। নিয়ন্ত্রনকক্ষে তালিকাভূক্ত না হওয়ায় বিমানটি ঠিক কি উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল তা জানা যায়নি। তবে মৃতদের মধ্যে দুজন গবেষকও ছিলেন। নয়জন যাত্রীর মধ্যে চারজন নিহত হয় এই দুর্ঘটনায়।

অক্টোবর ৪, ২০১৪
যুক্তরাষ্ট্রের ওকাহামার একটি হাসপাতালের নিজস্ব এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বেল ২০৬এল ফ্লাইটটি টেক্সাসে যান্ত্রিক গোলযোগের শিকার হয়ে বিধ্বস্ত হয়ে। চারজন আরোহীর মধ্যে দুজনই মারা যায়। মৃত দুজনের মধ্যে একজন রোগী এবং অন্যজন নার্স।

নভেম্বর ৬, ২০১৪
ডি হ্যাভিল্যান্ড কানাডা ডিএইচসি-৮ বিমানটি উড্ডয়ন পরবর্তীতেই যান্ত্রিক সমস্যার শিকার হয়। তবে পাইলটের বুদ্ধিমত্তার কারণে কোনো প্রাণহানী ছাড়াই বিমানবন্দরে অবতারণে সক্ষম হয় বিমানটি। মাত্র ১৫ মিনিটের ব্যবধানে এই ঘটনাটি ঘটে।

ডিসেম্বর ২, ২০১৪
গর্ভনস হার্বার থেকে লেইডেন পিন্ডিলিং ইন্টারন্যাশনালে যাওার পথে বাহামার নিউ প্রভিন্সে ভূপাতিত হয় বিমানটি। এতে একজন নিহত এবং অনেকে আহত হয়। পাইপার নামের এই বিমানটিও যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি এবং ২০০৮ সাল পরবর্তীতে বিমানটিকে বাহামার কাছে বিক্রি করে যুক্তরাষ্ট্র।

ডিসেম্বর ৩, ২০১৪
দশজন আরোহীর একজনও বাঁচেনি এই বিমান দুর্ঘটনায়। গুয়েমারাল থেকে বাহিয়া সোলানো যাওয়ার পথে ইঞ্জিনে গোলযোগ হওয়ায় জরুরী অবতারণে বাধ্য হন পাইলট। এসময় দুর্ঘটনায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। পাইপার নামের এই বিমানটিও যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত।

ডিসেম্বর ৮, ২০১৪
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাক্তিমালিকানাধীন এই বিমাটি মন্টেগোমারি বিমানবন্দর থেকে মাত্র এক মাইল দূরত্বে বিধ্বস্ত হয়। বিমানটির তিনজন যাত্রী মারা যায় এবং যে দালানটির উপর ভূপাতিত হয় সেই দালানের দুজন বাসিন্দা গুরুতর আহত হন।

ডিসেম্বর ১২, ২০১৪
শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত আন্তনভ এএন-৩২বি বিমানটি পাঁচজন আরোহী নিয়ে দেশটির হোকানদারা অঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়। আরোহীদের সবাই দুর্ঘটনায় মারা যায়। দেশটির সেনাবাহিনী দেয়া তথ্য মতে, বিমানটি ধ্বংস হওয়ার কোনো কারণ ছিল না। বিধ্বস্তের কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

ডিসেম্বর ২৪, ২০১৪
বিমানের ইঞ্জিনে তেলের সমস্যার কারণে পাইলট বিমানটি জরুরী অবতারণে বাধ্য হন। কিন্তু মেসা দি লস আন্তোসের কাছাকাছি আসতেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে যায়। এতে সাতজন আরোহী ঘটনাস্থলেই মারা যায়। কলম্বিয়ার অ্যালন ডি কলম্বিয়া নামক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রানাধীন বিমান ছিল সেসনা টি২০৭এ।

ডিসেম্বর ২৮, ২০১৪
সুরবায়া থেকে সিঙ্গাপুর যাবার পথে এয়ারবাস এ-৩২০-২১৬ বিমানটি ১৬২জন আরোহী নিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। আরোহীদের সকলেই নিহত হন। উড্ডয়নের ৪০ মিনিটের মাথায় বিমানটি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে। জাভা সাগরে ধ্বংসাবশেষ পড়ায় কেউ জীবিত ছিল কিনা তা বোঝারও উপায় ছিল না।

জানুয়ারি ১৮, ২০১৫
সিরিয়ার বিমানবাহিনী নিয়ন্ত্রানাধীন অন্তনভ এএন-২৬ বিমানটিতে বৈদ্যুতিক গোলযোগ হওয়ায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। আরোহী ৩৭ জনের মধ্যে ৩১জনই মারা যায়। তবে মধ্যপ্রাচ্যের সন্ত্রাসী সংগঠন আল নুসেরা দাবি করেছে যে, তারা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে বিমানটিকে ভূপাতিত করেছিল।

জানুয়ারি ২৬, ২০১৫
স্পেনের লস লানোস এয়ার বাস হলো দেশটির সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান। তাদের ডায়নামিকস এফ১৬ডি বিমানটি যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুপক্ষকে তাড়া করতে গিয়ে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিধ্বস্ত হয়ে যায়। এই ঘটনায় দুই পাইলটসহ নয়জন নিহত হয়।

ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৫
তাইওয়ানের ট্রান্সএশিয়ার মালিকানাধীন এটিআর ৭২-৬০০ বিমানটি তাইপে থেকে কিনম্যান যাওয়ার পথে ভূপাতিত হয়। আরোহী ৫৮ জনের মধ্যে ৪০জন নিহত হয়। ঠিক কি কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছিল তা এখনও জানা যায়নি। যদিও গবেষকরা দাবি করছেন পাইলট নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলাতেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

মার্চ ৪, ২০১৫
ইস্তামবুল থেকে কাঠমান্ডু আসার পথে কুয়াশাজনিত কারণে অবতরণের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও বিমানটি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে বলে জানা যায়।

মার্চ ৫, ২০১৫
আটলান্টা থেকে নিউইয়র্ক যাবার পথে ম্যাকডোলন্ড ডগলাস এমডি-৮৮ বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। যদিও এই দুর্ঘটনায় কেই আহত-নিহত হয়নি। তদন্তে বের হয়ে আসে যে, ইঞ্জিনে ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

মার্চ ৫, ২০১৫
ক্যালিফোর্নিয়ার সানটানা মনিকাতে রায়ান এসটি৩কেআর বিমানটি ভূপাতিত হয়। বিমানটিতে ছিলেন হলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা  হ্যারিসন ফোর্ড। ভাগ্যক্রমে কোনো হতাহত ছাড়াই বিমানটি অবতারণে সক্ষম হয় পাইলট।