প্রবাসীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে রেমিট্যান্স পাঠান। এর বিনিময়ে বিমানবন্দরে নানা সমস্যা, হয়রানির শিকার হন। বঞ্চিত হন দেশের জাতীয়, স্থানীয় ভোটাধিকার থেকে। আজ সিউলের কনকুক ইউনিভার্সিটিতে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন কোরিয়া আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। আলোচনা সভায় কোরিয়া প্রবাসীদের পক্ষ থেকে তিনটি দাবি তুলে ধরে বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে আহবান জানানো হয়। দাবিগুলো হল প্রবাসীদের দ্বিতীয় প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ‘মডার্ণ হিরোজ অব বাংলাদেশ’ উপাধি প্রদান, বিমানবন্দরে প্রবাসীদের জন্য ঝামেলামুক্ত বিশেষ সার্ভিস চালু এবং জাতীয় এবং স্থানীয় নির্বাচনে অনলাইনে ভোটাধিকারের ব্যবস্থা।
বিসিকে সভাপতি আবুবকর সিদ্দিক রানার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিউস্থ বাংলাদেশ দুতাবাসের প্রথমসচিব মোঃ জাহিদুল ইসলাম ভুঁইয়া। তিনি বলেন প্রবাসীদের কথা সরকার সবসময় বিশেষভাবে বিবেচনা রাখে। কোরিয়া প্রবাসীদের দাবিগুলোও সরকার পূরণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মোশারফ হোসাইন। বিসিকে সাধারণ সম্পাদক এম এন ইসলামের পরিচালনায় আলোচনার সভার শুরুতে নির্ধারিত ‘টেকসই উন্নয়নে প্রবাসী বাংলাদেশীদের ভূমিকা’ বিষয়ে বিশেষ বক্তব্য রাখেন কনকুক ইউনিভার্সিটির পিএইচডি গবেষক মোহাম্মদ আল আমিন। তিনি বলেন ১৯৭৬ সালে মাত্র দুই হাজার কর্মী প্রেরণের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশীদের ইতিহাস শুরু হয়েছিল। বর্তমানে ৮৭ লাখের বেশি বাংলাদেশী বিভিন্ন দেশে কর্মরত আছেন। অদক্ষ, আধাদক্ষসহ প্রফেশনাল প্রবাসী বাংলাদেশীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। প্রবাসীদের পাঠানো বাৎসরিক রেমিটেন্সের পরিমাণ দেশের বাজেটের প্রায় ৪৪শতাংশ। যদি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয় তবে প্রবাসীদেরকে বিভিন্ন উন্নয়নকাজে সম্পৃক্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে বিমানবন্দরে প্রবাসীদের হয়রানি বন্ধ করা, দেশে ইনভেস্টমেন্টে প্রবাসীদেরকে সহযোগিতা প্রদান, প্রবাসীদেরকে অনলাইনে ভোট প্রদানের অধিকারসহ বিভিন্ন দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি তিনি আহবান জানান।
এছাড়াও কোরিয়া প্রবাসী ব্যবসায়ী, ইপিএস কর্মী এবং ছাত্রছাত্রীরা আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন।