aus vs newরোববার সেই আকাঙ্ক্ষিত ফাইনাল। এক দলের কাছে তা স্বপ্ন পূরণের লড়াই। আর অন্য দলের কাছে এটি হারানো গৌরব পুণরুদ্ধারের মঞ্চ। সেই লড়াইয়ে মানসিকভাবে এগিয়ে থাকতেই কিনা কিউইদের অধিনায়ক ম্যাচের ২৪ ঘন্টা আগেই জানিয়ে দিলেন তার সেনাদের তালিকা। ২৯ মার্চ অপরিবর্তিত দল নিয়েই মাঠে নামবেন ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম। তবে একাদশ নিয়ে এখনই চূড়ান্ত মন্তব্য করেননি তার প্রতিপক্ষ মাইকেল ক্লার্ক।

ম্যাককুলামের অপরিবর্তিত দল নিয়ে মাঠে নামায় অবশ্য বিস্ময়ের কিছু নেই। এই দল নিয়েই তো সেমি-ফাইনালে গেরো খুললেন তারা। দুর্দান্ত খেলতে থাকা একটি দলের উপর আস্থা রাখাটাই তাই স্বাভাবিক। টুর্নামেন্টের গত আট ম্যাচেই যে অজেয় রয়েছেন তারা। তাই গাপটিল-এলিয়টদের নিয়েই বিশ্বকাপ জেতার আশা অধিনায়কের। ‘নিউজিল্যান্ডে এই দল নিয়েই বিমুগ্ধকর সফলতা পেয়েছি আমরা। আশা করছি এমসিজি’তেও একই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। বিশ্বকাপ জেতার জন্য মাঠটাও দারুণ’, বলেছেন এ বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান।

chardike-ad

অন্যদিকে ফাইনাল ম্যাচের আগে করা সংবাদ-সম্মেলনে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন অসি অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। জানিয়ে দিয়েছেন ফাইনালটিই হবে তার শেষ একদিনের আর্ন্তজাতিক ম্যাচ। এরপর থেকে শুধু টেস্টেই খেলবেন এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ‘আমি মনে করি এটিই সমাপ্তি টানার শ্রেষ্ঠ সময়। যখন অধিনায়কত্ব নিয়েছিলাম, তখনকার চেয়ে বর্তমানে দলের অবস্থা বেশ সন্তোষজনক। পরবর্তী বিশ্বকাপে আমার খেলার কোনো সম্ভাবনা নেই। আর সেক্ষেত্রে দলের ভালোর জন্যই এ সিদ্ধান্ত নেয়া।’ তবে শেষ ওয়ানডেতে কিউইদের সমস্যা হবে বলেই মনে করছেন তিনি। ‘এমসিজি একটি অন্যরকম ভেন্যু। এটি নিউজিল্যান্ডের মাঠগুলোর মতো নয়। সুতরাং এতে তাদের মানিয়ে নিতে বেশ সমস্যা হবে। তবে বিশ্বকাপ জিততে হলে আমাদেরও সর্বোচ্চটাই নিংড়ে দিতে হবে। তারা খুব ভালো দল এবং এখন পর্যন্ত দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলছে। এককথায় ফাইনালে খেলার যোগ্য দল নিউজিল্যান্ড।’

বিদায়ের সুর আছে নিউজিল্যান্ড শিবিরেও। ৩৬ বছর বয়সী ড্যানিয়েল ভেট্টোরি যে ফাইনাল খেলেই ইতি টানতে যাচ্ছেন নিজের আর্ন্তজাতিক ক্যারিয়ারের। অনেকদিনের পুরনো এই সঙ্গীকে তাই বিশ্বকাপটাই বিদায়ী উপহার হিসেবে দিতে চায় সতীর্তরা। অতীত কিন্তু ভরসাই যোগাচ্ছে ব্ল্যাক ক্যাপসদের। এমসিজি’তে অসিদের বিরুদ্ধে খেলা সর্বশেষ পাঁচটি ওয়ানডের তিনটিতে জিতে এগিয়ে আছে তারা। আছেন মার্টিন গাপটিলের মতো ব্যাটসম্যান, যিনি কিনা টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক। আর ১০ রান করলেই কুমার সাঙ্গাকারাকে পেরিয়ে যাবেন তিনি। বোলিংয়ের নেতৃত্বে আছেন আসরের এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ২১টি উইকেট শিকার করা ট্রেন্ট বোল্ট।

পিছিয়ে নেই অস্ট্রেলিয়াও। ফিঞ্চ-স্মিথ-স্টার্ক-জনসনদের নিয়ে তৈরি তারাও। পঞ্চমবারের মতো বিশ্বসেরার ট্রফিটি ছিনিয়ে নিতে প্রস্তুত তারা। এবার শুধু মাঠে নামার অপেক্ষা।