world cup 2015প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহারের সুবাদে খেলার মাঠে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া বিচারকদের জন্য এখন অনেক সহজ হয়েছে। এর ছোঁয়ায় খেলার সম্প্রচারও হয়ে উঠেছে অনেক প্রাণবন্ত। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে চলমান ক্রিকেট বিশ্বকাপে ব্যবহূত প্রযুক্তিগুলো নিয়ে এ আয়োজন—

এলইডি স্টাম্প ও বেল

chardike-ad

স্টাম্পে ক্যামেরার ব্যবহার অনেক পুরনো। এখন স্ট্যাম্পে এলইডি লাইটের ব্যবহার হচ্ছে। স্টাম্প থেকে বেল আলাদা হচ্ছে কিনা— সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার সহজ উপায়ে পরিণত হয়েছে এ এলইডি লাইট। স্টাম্প থেকে বেল পৃথক হলেই কেবল এ লাইট জ্বলে উঠবে। ফলে আম্পায়ারের পক্ষে এ ধরনের যে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া এখন অনেক সহজ হয়েছে।

রিয়াল-টাইম স্নিকো

বল ব্যাট অতিক্রম করার সময় তা ব্যাটে লেগেছে কিনা— তা পরীক্ষার নির্ভরযোগ্য প্রযুক্তি স্নিকো। মূলত টেলিভিশনে খেলা দেখানোর সময় এ প্রযুক্তি প্রদর্শন করা হয়। সাউন্ড ও ভিডিওর মাধ্যমে ব্যাটে বল লাগার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। বিশ্ব ক্রিকেটের ডিসিশন রিভিউ সিস্টেমে (ডিআরএস) স্নিকো এখন নির্ভরযোগ্য একটি প্রযুক্তি।

হকআই

বল করা ও পুনরায় বোলারের কাছে ফিরে আসার আগ পর্যন্ত বলের অবস্থান নির্ণয় করা হয় এ প্রযুক্তির মাধ্যমে। মাঠে থাকা ছয়টি ক্যামেরার মাধ্যমে বলের এ গতিপথ শনাক্ত করা হয়। বলের গতি, বাউন্স ও সুইংয়ের মাত্রা সম্পর্কেও ধারণা দেয় এ প্রযুক্তি। ক্যামেরা ছয়টি থেকে প্রাপ্ত ছবিকে একটি কম্পিউটারের মাধ্যমে থ্রিডি চিত্রে রূপান্তর করে এ চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

পিচভিশন

ক্রিকেট পিচের বিভিন্ন অবস্থান দেখানো হয় এ প্রযুক্তির মাধ্যমে। বোলারের বল কোথায় পড়ছে, পাশাপাশি পিচের কোন কোন অবস্থানে বল পড়ায় ব্যাটসম্যান কীভাবে তা সামলাচ্ছেন, তা দেখাতে এ প্রযুক্তি ব্যবহার হয়। মূলত পিচে বলের অবস্থান দেখাতেই ব্যবহার হচ্ছে প্রযুক্তিটি।

স্পাইডারক্যাম

খেলা সম্প্রচারের জন্য এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। এ ক্যামেরা পুরো মাঠে আনুভূমিক ও উলম্বভাবে চলাচল করতে পারে। মাঠের বিভিন্ন অংশ একটি ক্যামেরার মাধ্যমে প্রদর্শনে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। ক্রিকেট পিচ থেকে শুরু করে পুরো মাঠের যে কোনো অংশের দৃশ্যধারণ করা যায় এ ক্যামেরার লেন্সে।

আরপিএম নির্ণয়

ক্রিকেটে বলের আপেক্ষিক ঘূর্ণন নির্ণয়েও প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।  বোলারের হাত থেকে ছোটার পর বলটি নিজ অক্ষে প্রতি মিনিটে কয়বার ঘুরছে, তাই এ প্রযুক্তির মাধ্যমে নির্ণয় করা হয়। আরপিএম বলতে প্রতি মিনিটে ঘূর্ণনের সংখ্যাকে বোঝানো হয়। মূলত স্পিনারদের কার্যকারিতা বোঝাতে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।

হটস্পট

বল ব্যাটে লেগেছে, না প্যাডে— তা নির্ণয়ের সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে হটস্পট। এ ব্যবস্থায় বল যেখানে আঘাত করে, তা স্পষ্ট করে দেখানো হয়। ফলে আম্পায়ারের এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে কোনো ধরনের সমস্যায় পড়তে হয় না। ক্রিকেটে এ প্রযুক্তি খুবই কার্যকর। তবে যন্ত্রাংশের অতিরিক্ত খরচ ও দুটি হোস্ট দেশের সবক’টি ভেনুতে এ প্রযুক্তি সরবরাহ সম্ভব না হওয়ায় চলমান বিশ্বকাপে হটস্পট প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে না।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া