Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

soudiইয়েমেনে বিমান হামলা চালাতে গিয়ে সৌদি আরবের একটি জঙ্গিবিমান ভূপাতিত হয়েছে। এর আগে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত আদেল আল-জুবেরি এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, তার দেশ ইয়েমেনে বিমান হামলা শুরু করেছে। আনসারুল্লাহ যোদ্ধারা রাজধানী সানা’সহ ইয়েমেনের বেশিরভাগ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর দেশটির বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামল সৌদি আরব।

আনসারুল্লাহ যোদ্ধাদের অবস্থানে বোমা বর্ষণ করেছে সৌদি রাজকীয় বিমান বাহিনী। এ ছাড়া, সানা বিমানবন্দর এবং দুলাইমি বিমান ঘাঁটিতেও আজ (বৃহস্পতিবার) সকালের দিকে হামলা হয়েছে। উত্তর সানার আবাসিক এলাকা নাসের কমপ্লেক্সে সৌদি বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ কয়েক ডজন নিরীহ বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে।

chardike-ad

আল আলম টেলিভিশন জানিয়েছে, ইয়েমেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একটি সৌদি বিমানকে গুলি করে ভূপাতিত করেছে।

আমেরিকায় এক সংবাদ সম্মেলনে জুবেরি বলেন, ইয়েমেনের কথিত বৈধ সরকারকে রক্ষার জন্য সেনা অভিযান শুরু করেছে সৌদি আরব। ইয়েমেনের পদত্যাগকারী প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মানসুর হাদির প্রশাসনের প্রতি ইঙ্গিত করে এ কথা বলেন তিনি। এর আগে ইয়েমেন থেকে হাদি পালিয়েছেন বলে খবর প্রচারিত হয়েছে এবং তিনি কোথায় আছেন তা জানা যায় নি।

আমেরিকায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, ইয়েমেনে যা ঘটছে তা রিয়াদ মেনে নিতে পারে না। তার ভাষায়, ইয়েমেনের বৈধ সরকারের জন্য যা কিছু প্রয়োজন সবই সৌদি আরব করবে। হুথি যোদ্ধারা সব সময় সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। ইয়েমেনের বিষয়ে আমেরিকার সঙ্গে সফল আলোচনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, হুথিদের বিজয় ঠেকানোর জন্য আঞ্চলিক ১০টির বেশি দেশের জোট গঠন করা হয়েছে।

এদিকে, কাতার, কুয়েত, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সৌদি আরব এক যৌথ বিবৃতিতে দাবি করেছে, তাদের ভাষায় আগ্রাসীদের মোকাবেলা করার জন্য প্রেসিডেন্ট হাদির আহ্বানে তারা সাড়া দেবে। সৌদি রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এ বিবৃতি প্রকাশ করেছে। ওমান ছাড়া পারস্য উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ বা পিজিসিসি’র অন্য সব সদস্যের নাম এতে রয়েছে। এ ছাড়া, সৌদি আরবে পিজিসিসি’র বৈঠকে ক্ষমতাচ্যুত হাদি যোগ দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মার্কিন সেনাবাহিনীর সমন্বয় দল বর্তমানে সৌদি আরবে অবস্থান করছে। আরব এবং মার্কিন কর্মকর্তারা সিএনএনকে এ কথা জানিয়েছেন। সৌদি আরব এখনো মার্কিন সহায়তা চায় নি বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে বিমান সহায়তা, উপগ্রহ থেকে তোলা ছবিসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সহায়তা চাইতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

মার্কিন প্রশাসনের এক পদস্থ কর্মকর্তা বলেছেন, আমেরিকা যানবাহন বা গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে সৌদি আরবকে সহায়তা করতে পারে তবে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেবে না। পিজিসিসি’র সামরিক অভিযানে গোয়েন্দা ও লজিস্টিক সহায়তা দেয়ার বিষয়টি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা অনুমোদন করেছেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র বারনাডেটে মিহান।

এদিকে, ইয়েমেনে যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম প্রায় এক শতাংশ বেড়ে গেছে।#

সূত্রঃ রেডিও তেহরান