বিশ্বকাপের আগেই ওয়ানডে ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন মিসবাহ-উল-হক। টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে শেষ হয়ে গেছে পাকিস্তান অধিনায়কের ওয়ানডে ক্যারিয়ার।
এই মুহূর্তে পাকিস্তানের ওয়ানডে অধিনায়কের পদ শূন্য পড়ে রয়েছে। কিন্তু দলটির নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক কে হচ্ছেন? এ নিয়ে অবশ্য বেশ আলোচনা চলছে। অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে অনেক খেলোয়াড়কেই এগিয়ে রাখছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ও বর্তমান ক্রিকেটাররা।
পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার রমিজ রাজা মনে করেন, দলের ওয়ানডে অধিনায়কত্ব পেসার ওয়াহাব রিয়াজকে দেওয়া উচিত।
বিশ্বকাপে দারুণ বোলিং করেছেন ওয়াহাব। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন এই পেসার। ম্যাচটিতে ধারাভাষ্য দিয়েছেন রমিজ। ফলে ওয়াহাবের বোলিং কাছে থেকেই দেখেছেন পাকিস্তানের এই প্রাক্তন ব্যাটসম্যান। তিনি মনে করেন, ওয়াহাবের আক্রমণাত্মক মনোভাব তাকে ‘বড় নেতা’ হিসেবে গড়ে তুলবে।
রমিজ বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওর (ওয়াহাব) বোলিং দেখেছি। ওর মধ্যে বড় ‘নেতা’ হওয়ার গুণ দেখা গেছে। কারণ, সে আক্রমণাত্মক মনোভাব দেখিয়েছে। যা পাকিস্তান ক্রিকেটকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজন। আমি মনে করি, ওয়াহাব অধিনায়ক হিসেবে পাকিস্তান ক্রিকেটকে সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে পারবে।’
এদিকে পাকিস্তানের একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে ওয়ানডে অধিনায়ক হওয়ার জন্য মোহাম্মদ হাফিজ ও আজহার আলীর নাম বলেছেন স্পিনার সাঈদ আজমল। এ দুজনকে পাকিস্তানের ওয়ানডে অধিনায়ক হওয়ার সেরা পছন্দ বলে মনে করছেন তিনি। আজমল বলেন, ‘অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য হাফিজ ও আজহার সেরা পছন্দ হতে পারে।’
অভিজ্ঞ ইউনিস খান ওয়ানডে অধিনায়ক প্রার্থী হতে পারেন কি না? ওই অনুষ্ঠানে এমন এক প্রশ্নে আজমল বলেন, ‘ইউনিস খানের মনে যে কী আছে, আমি জানি না। সে আরো কত খেলতে চায়। আমি তাকে অধিনায়ক হওয়ার সম্ভাব্য প্রার্থী মনে করি না। কারণ তার যেখানে ওয়ানডে খেলারই নিশ্চয়তা নেই, সেখানে সে কীভাবে অধিনায়ক হবে।’
ইউনিস খানের এখন ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় জানানো উচিত বলেও মন্তব্য করেন আজমল।
তবে সব ছাপিয়ে পাকিস্তানের নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক কে হন, কার কাঁধে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব তুলে দেয় পিসিবি, সেটাই এখন দেখার পালা!