বাংলাদেশিসহ ইউরোপের বাইরের দেশের কেউ ছয় মাসের বেশি সময়ের জন্য যুক্তরাজ্য সফরে গেলে বার্ষিক ২০০ পাউন্ড করে স্বাস্থ্য সারচার্জ দিতে হবে। উচ্চশিক্ষা গ্রহণে যুক্তরাজ্যে যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য বার্ষিক সারচার্জের পরিমাণ ১৫০ পাউন্ড। ৬ এপ্রিল থেকে এই সারচার্জ কার্যকর হচ্ছে। রোববার ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশন এই ঘোষণা দিয়েছে।
নতুন এই সারচার্জ প্রদানের কারণে বিদেশিরা যুক্তরাজ্যে জাতীয় স্বাস্থ্য সেবার সুবিধা পাবেন। বর্তমানে ইউরোপের বাইরে থেকে কর্মসংস্থান, শিক্ষা এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগ দিতে যুক্তরাজ্যে যাওয়া বিদেশিরা দেশটির নাগরিকদের মতোই বিনামূল্যে জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা পেয়ে থাকেন।
নতুন করে সারচার্জ আরোপের ফলে সেখানে বিদেশীদের স্বাস্থ্য সেবার ব্যয় এই অর্থ থেকে মেটানো হবে। বর্তমানে যারা যুক্তরাজ্যে আছেন তারা দেশটিতে থাকার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করলে তাদেরও স্বাস্থ্য সারচার্জ দিতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে যেতে ইচ্ছুকদের ভিসার আবেদনের সঙ্গে নিজে উপস্থিত হয়ে ভিসা ফির সঙ্গে স্বাস্থ্য সারচার্জের অর্থ পরিশোধ করতে হবে। তাদের অনলাইনে সারচার্জের অর্থ পরিশোধের কোনো সুযোগ নেই।
হাইকমিশন থেকে জানানো হয়, উচ্চশিক্ষা গ্রহণে শিক্ষার্থীরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ যুক্তরাজ্যের প্রতিযোগী অপরাপর যে সব দেশে যায়, সেখানে মেডিকেল ইন্স্যুরেন্স বাবদ যে অর্থ ব্যয় করে, যুক্তরাজ্যে নতুন করে চালু হতে যাওয়া সারচার্জে ব্যয় তার তুলনায় কম।
যুক্তরাজ্যে তিন বছর মেয়াদি আন্ডার গ্রাজুয়েট কোর্সে ইউরোপের বাইরের বিদেশি শিক্ষার্থীদের মোট ব্যয়ের এক শতাংশ ব্যয় হবে সারচার্জ বাবদ।
ব্রিটিশ হাইকমিশন আরও জানায়, যুক্তরাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দারা যে স্বাস্থ্য সেবা পায়, সারচার্জ দিয়ে আসা বিদেশিরা তার সমান সেবা পাবেন। সারচার্জের অর্থ সরাসরি দেশটির স্বাস্থ্য খাতে চলে যাবে। কোনো আবেদনকারী ভিসা না পেলে তিনি সারচার্জের অর্থ ফেরত পাবেন।
তবে পর্যটন ভিসায় যাওয়া বিদেশিদের কোনো সারচার্জ দিতে হবে না। তাদের স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণে অর্থ পরিশোধ করতে হয়। ইউরোপীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ইউরোপের বাইরে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের নাগরিকদের জন্যও এই সারচার্জ প্রযোজ্য নয়।