কোয়ার্টার ফাইনালের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত কোনো বাংলাদেশি সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেননি ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি।ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে বেশ হাসিঠাট্টাও করছিলেন ধোনি।
অবশ্য এটাকে সংবাদ সম্মেলন না বলে ‘ভারতীয় সম্মেলন’ বলা ভালো। কেননা, সেখানে উপস্থিত কোনো বাংলাদেশি সাংবাদিকের কথা বলতে দেননি ডা. বাবা নামে ভারতীয় দলের মুখভার করে রাখা মিডিয়া ম্যানেজার।প্রশ্ন করার জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করেও বাংলাদেশি কোনো সাংবাদিককে মাইক দেওয়া হয়নি। প্রশ্ন করা যায়নি রুবেলের ওই বিতর্কিত ‘নো’ বলটি নিয়ে। অবশ্য জিজ্ঞেস করলেও সদুত্তর হয়তো পাওয়া যেত না। কারণ মহেন্দ্র সিং ধোনি এখন কাউন্ট ডাউন করছেন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য। নকআউটে বাংলাদেশকে হারিয়ে তারা এখন সেমিতে, প্রতিপক্ষ হয় অষ্ট্রেলিয়া না হয় পাকিস্তান। –
যেখানে কিছুক্ষণ আগে বসে মাশরাফি ছলছল চোখে কথা বলে গেলেন, সেখানেই বসে মহেন্দ্র সিং ধোনি এসে বিজয়ের হাসি দিলেন। জানিয়ে দিলেন, এ ম্যাচে কখনও তিনি কোনো চাপ বোধ করেননি। এমনকি যখন ১১৫ রানে ৩ উইকেট পড়ে যায়, ৩৫ ওভারে রানরেট যখন ৪.৮৭, তখনও তিনি নিশ্চিতেই ছিলেন! ‘এদিন আমাদের পরিকল্পনাগুলো ভালোভাবে বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। রোহিত আর রায়না দারুণ একটি জুটি গড়েছে। আমাদের লক্ষ্যই ছিল স্কোর বোর্ডে বড় একটি রান তোলা। সেটা করতে পেরেছি। তা ছাড়া আমাদের বোলিংও ভালো হয়েছে। পেসাররা সুইং পেয়েছে, অশ্বিন-জাদেজা টার্ন পেয়েছে।
ধোনি বলেন, ‘আমাদের সামনে আর দুটি ম্যাচ রয়েছে। তার আগে দলের প্রত্যেক ক্রিকেটারের যে আত্মবিশ্বাস দরকার, তা তারা নিয়ে নিয়েছে’ ম্যাচ শেষে বাংলাদেশকে নিয়ে কোনো কথাই বলেননি তিনি। তবে বাংলাদেশকে হারানোর স্বস্তিটা ধরা পড়েছিল তার মুচকি হাসিতে।
সেই হাসির ঝলক আইসিসির কর্মকর্তাদের মুখেও।আর যাই হোক, ভারত বিদায় হলে তাদের বাণিজ্যে ভাটা পড়ত। এদিনও মাঠে ৫১ হাজার ৫৭১ দর্শকের মধ্যে ভারতীয়ই ছিল প্রায় ৪৫ হাজার। সিডনিতে যদি সেমিফাইনালটা ভারত-পাকিস্তান কিংবা ভারত-অষ্ট্রেলিয়া হয়, তাতেও বাণিজ্য ফুলেফেঁপে উঠবে। ফেসবুকে কেউ কেউ লিখছেন, ‘বিগ থ্রির রোষানলে বাংলাদেশ’,‘ইংল্যান্ডকে হারানোর শোধ নিল আইসিসি’।