Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

womenযুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সাময়িকী ফোর্বস বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ নারীর তালিকা তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে। নিম্নে তাদের মধ্য থেকে ১০ জনের নাম তুলে ধরা হলো।

১. অাঙ্গেলা ম্যার্কেল

chardike-ad

জার্মানির চ্যান্সেলর অাঙ্গেলা ম্যার্কেল (৫৯) দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের প্রভাবশালী নারীর স্থানটি দখল করে আছেন। ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ও জি-৮ সম্মেলনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেছেন এই জার্মান রাষ্ট্রপ্রধান। মার্গারেট থ্যাচারের পর তিনিই দ্বিতীয় নারী হিসেবে এই সুযোগ পান।

২. জ্যানেট ইয়েলেন

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চেয়ারপারসন জ্যানেট ইয়েলেন (৬৭) বিশ্বের দ্বিতীয় প্রভাবশালী নারীর তালিকায় রয়েছেন। প্রথম কোনো নারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের তথা বিশ্বের প্রভাবশালী ওই ব্যাংকের প্রধানের পদে রয়েছেন ইয়েলেন। তার নেওয়া অর্থনৈতিক সংস্কার ও মুদ্রানীতি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

৩. মেলিন্ডা গেটস

মানবহিতৈষী ও সমাজকর্মী মেলিন্ডা গেটস (৪৯) প্রভাবশালীর তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। বিশ্বের পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর মান উন্নয়নের জন্য তাদের প্রতিষ্ঠিত মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনকে ২০১২ সালে ৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দিয়েছেন এবং আরো ২৬ বিলিয়ন ডলার মঞ্জুর করেছেন মাইক্রোসফটের কর্ণধার বিল গেটসের স্ত্রী মেলিন্ডা।

৪. দিলমা রুসেফ

ব্রাজিলের বর্তমান প্রেসিডেন্ট দিলমা রুসেফ (৬৬) তার যোগ্য নেতৃত্বের জন্য ব্যাপক প্রশংসিত। উচ্চমধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নিয়ে সমাজতান্ত্রিক দলে যোগ দেন এবং মার্ক্সবাদী শহরে গেরিলা গ্রুপের সদস্য হন। সামরিক একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে ১৯৭০-৭২ জেল খাটার পর দল গঠন করেন। ২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে ফের তিনি ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তার নেতৃত্বে ব্রাজিল বর্তমানে বিশ্বের ষষ্ঠ অর্থনীতির দেশ, যার জিডিপি ২.৪ ট্রিলিয়ন। ক্ষমতাধর নারীর তালিকায় তার অবস্থান চারে।

৫. ক্রিস্টিন লাগার্দ

ফ্রান্সের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রধান ক্রিস্টিনা লাগার্দ (৫৪) ক্ষমতাধরের তালিকায় পাঁচে রয়েছেন। ইমেজ সংকটে ভোগা ১৮৮ দেশ নিয়ে গড়া আইএমএফকে বেশ ভালোভাবে গড়ে তুলছেন তিনি। অর্থনৈতিক কর্মপরিকল্পনা ও দক্ষতায় তিনি বেশ সুনাম অর্জন করেছেন।

৬. হিলারি ক্লিনটন

সারা বিশ্বে সর্বাধিক পরিচিত নারীমুখের তালিকায় সম্ভবত হিলারি ক্লিনটনের (৬৬) নামটাই আগে থাকবে। মার্কিন ফার্স্ট লেডিদের মধ্যে এযাবৎকালের জনপ্রিয় ফার্স্ট লেডি (১৯৯৩-২০০১) ছিলেন হিলারি। নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য থেকে তিনিই প্রথম মার্কিন সিনেটর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। পেশায় একজন আইনজীবী হিলারি ক্লিনটন নারীর ক্ষমতায়ন ও শিশু অধিকার রক্ষায় সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বেশ সফলতাও দেখিয়েছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। নির্বাচিত হলে তিনিই হবেন দেশটির প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট।

৭. ম্যারি বাররা

যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি জেনারেল মোটরসের প্রধান নির্বাহী ম্যারি বাররা (৫২)। জিএম হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করা বাররা ৩৩ বছর ধরে সেখানে কাজ করছেন। দেশের অর্থনীতি এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখছেন তিনি।

৮. মিশেল ওবামা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার স্ত্রী (ফার্স্ট লেডি) মিশেল ওবামা (৫০) পেশায় একজন আইনজীবী ও লেখক। বিশ্বে ফ্যাশন আইকন হিসেবে পরিচিত মিশেল ওবামা দারিদ্র্য, অপুষ্টি, ক্ষুধার বিরুদ্ধে কাজ করছেন। প্রভাবশালী নারীর তালিকায় তার অবস্থান আটে।

৯. শেরিল স্যান্ডবার্গ

ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক শেরিল স্যান্ডবার্গ (৪৪) বিশ্বের প্রভাবশালী তালিকায় নবম স্থানে রয়েছেন। ২০০৮ সালে গুগল ছেড়ে ফেসবুকে যোগ দেন শেরিল। গত বছর ‘উইমেন ইন টেকনোলজি, ইন্টারন্যাশনাল’ বিশ্ব প্রযুক্তিতে শীর্ষ ১০ ক্ষমতাশালী নারীকে তালিকাভুক্ত করেছিল। ওই তালিকায় স্থান করে নিয়েছিলেন শেরিল।

১০. ভার্জিনিয়া রমেট্টি

কম্পিউটার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান আইবিএমের প্রধান নির্বাহী যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ভার্জিনিয়া রমেট্টি (৫৬) প্রভাবশালী নারীর তালিকায় দশম স্থানে রয়েছেন। ১৯৮১ সালে সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আইবিএমে যোগ দেন রমেট্টি। প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন এই নারী।