চলতি মাসেই লেবাননে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস বৈরুতে শুরু হচ্ছে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এম.আর.পি) তৈরির কাজ। আর এতেই পূরণ হতে যাচ্ছে লেবাননে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের ডিজিটাল পাসপোর্ট পাওয়ার স্বপ্ন। আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যেই লেবাননে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট হাতে পাবেন বলে আশা করছে দূতাবাস।
সূত্র জানিয়েছে- গত কয়েক মাস ধরে লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম ও প্রথম সচিব আশরাফুল ইসলাম শিকদারের প্রচেষ্টায় খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এম.আর.পি’র কাজ শুরু করতে পেরেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। এম.আর.পি’র জন্য প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সংগ্রহ ও জন্ম নিবন্ধনের কার্যক্রম ইতিমধ্যে শুরু করা হয়েছে।
দূতাবাসের সচিব শীর্ষনিউজকে জানান, আমরা সকল প্রবাসীদের দুইভাবে নিবন্ধনের পরামর্শ দিয়েছি এবং বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছি। আমরা দূতাবাস থেকে ১৭ অংকের নম্বরযুক্ত যে জন্ম নিবন্ধনটি দেব তা শুধু সাময়িক সময়ের জন্য। যা শুধুমাত্র পাসপোর্টের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। এজন্য সকলকে পাঁচ থেকে দশ আমেরিকান ডলার সমপরিমাণ ফি দিতে হবে।
আর যদি কেউ বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র আনেন, দূতাবাসে তার শতভাগ গ্রহণযোগ্যতা থাকবে। এ সনদ দূতাবাস থেকে সত্যায়িত করে দেয়া হবে এবং সেটা যেকোন সময় দরকারি কাজে ব্যবহার করতে পারবেন তারা।
এম.আর.পি’র বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম জানান, আমি লেবানন আসার পর থেকে যতটুকু পারেছি বাংলাদেশিদের সমস্যা নিয়ে কাজ করেছি। আর আমাদের এখন বড় চ্যালেঞ্জ সবার হাতে অতি দ্রুত মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট পৌঁছে দেয়া।
তিনি আরো জানান, আমরা খুবই আশাবাদী, চলতি মাসের মধ্যেই এ কাজ শুরু করতে পারবো। আগামী অক্টোবরে হাতে লেখা পাসপোর্টের সময় অতিক্রম হওয়ার আগেই আমরা এম.আর.পি দেয়া শেষ করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।