ধর্ষকের সাক্ষাৎকার প্রকাশ করায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে ভারত।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং হুমকি দিয়ে বলেছেন, ‘ধর্ষকের সাক্ষাৎকার প্রকাশ করার মাধ্যমে বিবিসি কোনো নিয়ম লঙ্ঘন করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সে রকম কিছু হয়ে থাকলে বিবিসির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
২০১২ সালে ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লীতে চলন্তবাসে ধর্ষণের শিকার হন এক ছাত্রী। এর কয়েকদিন পর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বিক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে গোটা ভারতে। ধর্ষকদের ফাঁসির দাবি জানায় দেশটির বিভিন্ন স্তরের মানুষ। ভারতে ধর্ষণের শাস্তি কঠোরতর করা হয়।
ওই ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত চারজনকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে একজন হলেন মুকেশ সিং, যাকে নিয়ে একটি প্রামাণ্য অনুষ্ঠান প্রচার করেছে বিবিসি। অনুষ্ঠানে মুকেশের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। সেখানে মুকেশ বলেন, ‘ধর্ষণের জন্য নারীরাই দায়ী। রাত ৯টার পর নারীরা রাস্তায় বের হয়ে খদ্দের খুঁজতে থাকে। ভালো মেয়েরা রাত ৯টার পর রাস্তায় থাকে না।’
আগামী রোববার সাক্ষাৎকারটি বিবিসি ও ভারতীয় চ্যানেল এনডিটিভিতে দেখানোর কথা ছিল। তবে ভারতে অনুষ্ঠানটির প্রচার নিষিদ্ধ করে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
বিবিসি প্রামাণ্য অনুষ্ঠানটি এগিয়ে এনে বুধবার রাতে প্রচার করে। আর এতেই আগুন জ্বলে ওঠে ভারতে! উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা দেশ। দেশটির বিভিন্ন স্থানে মানবাধিকার কর্মীসহ বহু মানুষ রাস্তায় নেমে এসে বিবিসির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান। তারা বিবিসির শাস্তি দাবি করেন।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা প্রামান্য অনুষ্ঠানটি প্রচার না করতে বিবিসিকে অনুরোধ করেছিলাম। তারপরও তারা অনুষ্ঠানটি প্রচার করে ভাল কাজ করেনি।’
তবে অনুষ্ঠানটি ভারতে প্রচার করেনি বিবিসি। তাই তাদের বিরুদ্ধে ভারত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা।