গ্রেফতারের পর থেকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে হত্যা, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পৃথক আট মামলায় টানা ২৭ দিনের রিমান্ডে দেওয়া হয়েছে।
অযৌক্তিক ও বেআইনিভাবে এবং সরকার গায়ের জোরে রিজভীকে রিমান্ডে নিচ্ছে বলে দাবি করেন তার আইনজীবী। অন্যদিকে যথাযথ আইন মেনে রিমান্ড দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছেন রাষ্ট্রপক্ষ।
রিজভীর আইনজীবী এ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, এক মামলার রিমান্ড থেকে আসার পর আইন অনুযায়ী ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে হয়। আদালত তা না মেনে অযথা-অপ্রয়োজনে রিজভীকে বার বার রিমান্ড দিচ্ছেন। যা সম্পূর্ণভাবে বেআইনি ও অযৌক্তিক।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আবু বলেন, রিজভীকে যথাযথ আইন মেনেই রিমান্ড দিচ্ছেন আদালত। তাকে ভিন্ন ভিন্ন মামলায় রিমান্ড দেওয়া হচ্ছে।
আব্দুল্লাহ আবু বলেন, রিজভীকে পৃথক আট মামলায় ২৭ দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে। যা সম্পূর্ণ আইন মেনে দেওয়া হয়েছে।
সর্বশেষ বুধবার (৪ মার্চ) মিরপুর থানার গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলায় রুহুল কবির রিজভী আহমেদকে দুইদিনের রিমান্ড দেন ঢাকা মহানগর হাকিম মিজানুর রহমান।
গত ৩০ জানুয়ারি গ্রেফতারের পর এ নিয়ে টানা অষ্টমবারের মতো রিমান্ডে নেওয়া হলো রিজভীকে।
এর আগে, ২৭ ফেব্রুয়ারি গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদকে ঢাকা মহানগর হাকিম হাসিবুল হক চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
২৩ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা মামলায় তিন দিনের রিমান্ড দেন ঢাকা মহানগর হাকিম মারুফ হোসেন।
২০ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদপুর থানায় করা মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম রাশেদ তালুকদার তার বিরুদ্ধে দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
১৬ ফেব্রুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম মারুফ হোসেন তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
১০ ফেব্রুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম আমিনুল হক পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
৪ ফেব্রুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম রেজাউল করিম রিজভীর বিরুদ্ধে পাঁচ দিনের রিমান্ড দেন।
১ ফেব্রুয়ারি বাড্ডা থানার মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম আলমগীর কবির রাজ তাকে তিন দিনের রিমান্ড দেন।
৩০ জানুয়ারি রাত পৌনে ৩টার দিকে রাজধানীর গুলশানের পার্ক রোডের একটি বাসা থেকে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যদের হাতে আটক হন রিজভী ।