Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

hasina-khaledaআন্তর্জাতিক মহলও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে৷ হরতাল-অবরোধ চলছেই৷ অর্থনীতির ক্ষতি হচ্ছে ব্যাপক৷ মানুষ মারা হচ্ছে পুড়িয়ে৷ এবার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে খবর – শেখ হাসিনা আর খালেদা জিয়া বৈঠকে বসেছেন!

দেশের প্রতিটি শান্তিপ্রিয় মানুষই চায় প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ আর বিএনপির দুই নেত্রী অনড় অবস্থান থেকে দেশের কথা ভেবে অন্তত সরে আসুন৷ সংলাপের মাধ্যমে অচলাবস্থা নিরসনের দাবি মেনে তাঁরা বৈঠকে বসুন৷ কিন্তু সবাই চাইলেও তা আর হচ্ছে কই? আওয়ামী লীগ সরকার বলছে, আন্দোলনের নামে যারা নিরীহ মানুষকে পেট্রোল বোমায় পুড়িয়ে মারে, তারা সন্ত্রাসী৷ সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধ না করা পর্যন্ত বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে সংলাপ কখনো সম্ভব নয় বলেও জানিয়ে আসছে আওয়ামী লীগ।

chardike-ad

অন্যদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে মধ্যবর্তী নির্বাচন হতে হবে৷ নির্বাচনের রূপরেখা প্রণয়নের জন্য সরকারের সঙ্গে সংলাপের প্রয়োজনীয়তা এবং গুরুত্ব তুলে ধরে নানা সময়ে বক্তব্যও রেখেছেন বিএনপির কয়েকজন নেতা।

সামহয়্যার ইন ব্লগে ভুল বানান এবং ভুল বাক্যে ভরা একটি লেখায় হঠাতই এক সুখবর দিয়েছেন হারুনর রশিদ৷ তাঁর লেখার শিরোনাম, ‘কোটি মানুষের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে দুই নেত্রীর অন্তরঙ্গ বৈঠক’।

বানান যত ভুলই হোক খবরটা তো ভীষণ প্রত্যাশিত।

হারুনর রশিদ জানিয়েছেন, ‘‘অবিশ্বাস্য হলেও সত্য কোটি মানুষের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হলেন দেশের দুই নেত্রী৷ তাও কোনো সংলাপ নয়৷ আজব এক কেরামতিতে তারা ব্যাকুল হয়ে ওঠেন পরস্পরকে দেখার জন্য৷ তবে ঘটনার সূত্রপাত ঘটিয়েছেন সরকার প্রধান নিজেই৷ শুক্রবার রাতের খাবার শেষে ঘুমাতে যান প্রধানমন্ত্রী৷ ঠিক নিজের কাজ কর্ম সেরে বিরোধী দলীয় নেত্রীও শুয়ে পড়েন বিছানায়।”

তারপর? হারুনর রশীদ জানিয়েছেন, পুরো ব্যাপারটিই আসলে স্বপ্ন৷ দুই নেত্রী নাকি স্বপ্ন দেখেছেন।

তারপর পুরো বিষয়টি নিয়ে বিদ্রূপ করেছেন হারুনর রশীদ৷ তবে বাংলাদেশের এখন যা পরিস্থিতি তা নিয়ে বিদ্রূপ করা অনেকাংশে অমানবিক৷ দেশের অনেক পরিবারে এখন প্রিয়জন হারানো শোকের ছায়া৷ অনেকেরই সময় কাটছে পেট্রোল বোমায় ঝলসানো প্রিয়জনদের পাশে৷ অনেক পরিবারে চলছে শোকের মাতম।

সামহয়্যার ইন ব্লগে এই পেট্রল বোমা হামলায় প্রতিদিন মানুষ হত্যার বিষয়টি নিয়েই খালেদা জিয়ার কাছে প্রশ্ন রেখেছেন রাফা৷ রাফা জানতে চেয়েছেন, ‘‘মায়েশার মায়ের কান্না কি পৌঁছুবে দেশনেত্রীর কানে?”

খালেদা জিয়ার উদ্দেশে রাফা লিখেছেন, ‘‘আপনি না দেশনেত্রী মনে করেন নিজেকে? কোন দেশের নেত্রী আপনি? কাদের নেত্রী আপনি,দয়া করে বলুন৷ যে মেয়েটির স্বপ্ন ছিল পড়ালেখা করে ডাক্তার হবে, মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত মায়শা মায়ের কোলে ঘুমিয়েছিল বাসের ছোট্ট পরিসরে৷ মায়শা বুঝতেও পারলোনা কেমন করে কে হত্যা করলো তাকে৷ কি অপরাধে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হলো তাকে? মায়শার পিতা নিজে পুড়ে গিয়েও রক্ষা করতে পারলেন না নিজের মেয়েকে।”

শেষ অংশে রাফা লিখেছেন, ‘‘অনুগ্রহ করে সবাই মিলে একটা কথাই বলুন – মানুষকে পুড়িয়ে মারা বন্ধ করা হোক৷ যে রাজনীতি মানুষকে পুড়িয়ে মারে সে রাজনীতি আমরা চাইনা৷ গণতন্ত্র উদ্ধারের নামে মানুষকে কবরে পাঠিয়ে কিসের গণতন্ত্র? আমরা গণতন্ত্র চাইনা, ভোট দেওয়ার অধিকারও চাইনা, আমাদেরকে বাঁচতে দিন দয়া করে৷ আর যদি তা না দেন তাহলে ৭১-এর মতো জীবন বাজি রেখে আবার ঝাঁপিয়ে পড়বো আপনাদের হাত থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে মুক্ত করার জন্য।”

সূত্রঃ ডয়েচে ভেলে