jamat২৪ ঘণ্টায় পুলিশের গুলিতে তিন জামায়াত-শিবিরের কর্মী নিহত হয়েছেন। কুমিল্লা-রাজশাহীতে দুই শিবির নেতা এবং যশোরে এক জামায়াত কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনাকে জামায়াত-শিবিরের পক্ষ থেকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করা হয়েছে।

পুলিশ বলছে  শুক্রবার ভোররাত চারটার দিকে ছাত্রশিবিরের একদল কর্মী কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের লালবাগ এলাকায় ‘নাশকতার’ জন্য জড়ো হয়েছিল।  চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দাবি করছেন শিবিরের কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করলে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে চৌদ্দগ্রাম পৌর শিবিরের সভাপতি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।

chardike-ad

এদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবিরের নেতা শাহাবুদ্দিন কাটাখালি বাজারে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কাটাখালি বাজারে এ ঘটনা ঘটে।  তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এবং ক্রপ সায়েন্স বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী।

রাজশাহীর পুলিশ কর্মকর্তা এ কে এম নাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, গত রাতে রাজশাহীর মতিহার থানা এলাকায় পুলিশের টহল গাড়ির ওপর ছাত্রশিবিরের একদল নেতা-কর্মী র্ইট-পাটকেল এবং ককটেল নিক্ষেপ করে। তখন পুলিশ গুলি চালালে ছাত্রশিবিরের তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের হাসপাতালে নেয়া হলে একজন মারা যায়। পুলিশ দাবি করেছে, বোমা হামলায় পুলিশের একজন কনস্টেবলও আহত হয়েছে।

ছাত্রশিবির বলেছে, তাদের এই তিনজন নেতা দাওয়াত খেয়ে ফেরার পথে পুলিশ তাদের আটক করে এবং পরে পুলিশ তিনজনকেই গুলি করলে একজন মারা যায়। শিবির এ ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেছে। এর প্রতিবাদে রোববার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দিয়েছে।

গত রাতে পৃথক আরেকটি ঘটনায় যশোরের শার্শা এলাকায় জামায়াতের একজন কর্মী গুলিতে নিহত হয়েছে। নিহত জামায়অত নেতার নাম শহিদুল ইসলাম। তার বাড়ি সাতক্ষীরায়। পুলিশ বলেছে, সাতক্ষীরা জামায়াতের দু’জন কর্মীকে যশোরের শার্শা থানা পুলিশ আটকের পর আদালতে নেয়ার সময় তারা পুলিশের কাছ থেকে পালিয়েছিল। পরে পুলিশ একজনের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।

এই ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে বর্ণনা করেছে জামায়াত।