shibir

নেতাকর্মীদের হত্যা, গুম, নির্যাতন, বাড়িঘর ভাংচুর ও গণগ্রেফতারের প্রতিবাদে রোববার সারাদেশে হরতাল ডেকেছে শিবির। শুক্রবার দুপুরে শিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মনির আহমদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

chardike-ad

বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের সভাপতি আবদুল জব্বার ও সেক্রেটারি জেনারেল আতিকুর রহমান বলেন, ছাত্রজনতার মুক্তির আন্দোলনকে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করতে না পেরে নৃশংসতা ও অমানবিকতার পথ বেছে নিয়েছে অবৈধ সরকার। আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়ে নেতাকর্মীদের বাসা থেকে ধরে নিয়ে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। অনেককে গ্রেফতারের পর অস্বীকার ও মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের পর রাতের আঁধারে বন্দুকযুদ্ধের নাটক সাজিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। কোনো কোনো নেতাকর্মীকে গুলি করে হত্যা করার পর গাড়ির নিচে ফেলে হত্যার নাটক সাজাতেও দ্বিধা করেনি।

তারা অভিযোগ করেন, চলমান আন্দোলনে এক মাসে চট্টগ্রামে ২, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২, ঢাকায় ১, রাজশাহীতে ১ ও কুমিল্লায় ১ জনসহ ছাত্রশিবিরের ৭ জন নেতাকর্মীকে গুলি করে হত্যা ও শতাধিক নেতাকর্মীকে ধরে নিয়ে পায়ে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করেছে রাষ্ট্রীয় বাহিনী। শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে ২ নেতাকর্মীকে হত্যা ও ১৪ জনকে পায়ে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করা হয়েছে, যারা বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ছিলেন। এর পাশাপাশি সারাদেশে ডাকাতের মত নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করছে যৌথবাহিনী ও সরকার দলীয় ক্যাডাররা। চলছে নির্বিচারে গণগ্রেফতার।

তারা বলেন, একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে এ ধরনের অসভ্য আচরণ কল্পনা করা না গেলেও এদেশে তা প্রতিদিনই ঘটছে। তাই নির্বিচারে বিরোধী নেতাকর্মীদের হত্যা, গুম, গুলি, বাড়িঘর ভাংচুর ও গণগ্রেফতারের প্রতিবাদে ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বন্ধের দাবিতে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার সারাদেশে বিক্ষোভ এবং ৮ ফেব্রুয়ারি রোববার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করছি।

তারা আরও বলেন, আমরা দেশের ছাত্রসমাজসহ সর্বস্তরের জনগণকে শান্তিপূর্ণভাবে হরতালকে শতভাগ সফল করার মাধ্যমে অপশাসন ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের হরতাল হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। কিন্তু সরকার যদি বাধা দেয়, তাহলে উদ্ভূত যে কোনো পরিস্থিতির দায় তাদের ওপরই বর্তাবে।