Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
valobasa-dibos
প্রতীকি ছবি

ভালোবাসা দিবসের আর মাত্র ১০ দিন বাকি। তার আগেই নড়েচড়ে বসলেন ভারতের পশ্চিম- উত্তর প্রদেশের হিন্দু মহাসভা। তারা জানিয়েছেন, এইদিন প্রণয়ী যুগলরা একসঙ্গে উদযাপন করলে তাদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হবে।

জি নিউজ এক খবরে জানিয়েছে, যেহেতু ভারতের মতো দেশের পক্ষে এই ধরণের পশ্চিমী প্রথা জনসমক্ষে উদযাপন করা শোভা পায় না। তাই এই নিদান হিন্দু মহাসভার।

chardike-ad

জানা গেছে, এই দিন কোনো প্রেমিক-প্রেমিকাকে গোলাপ ফুল হাতে দেখা গেলে বা কোনো পার্কের কোণায় আলিঙ্গনরত অবস্থায় দেখা গেলেই তাদের আর্য সমাজের নিয়ম মেনে বিয়ে দেওয়া হবে।

যদি প্রেমিক ও প্রেমিকা এক ধর্মের বা গোত্রের না হন, তবে তাদের শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।

মহাসভার সভাপতি চন্দ্র প্রকাশ কৌশিক জানিয়েছেন, ভারতের মতো দেশে বছরের ৩৬৫ দিনই ভালবাসার দিন। তবে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনস ডে উদযাপন করার প্রয়োজন কী?

তিনি বলেন, আমরা ভালবাসার বিপক্ষে নই, কিন্তু যারা একে অপরকে ভালবাসে বলে দাবি করে তাদের অবিলম্বে বিয়ে করা উচিত। যদি তারা আমাদের বলেন, ভাবার জন্য সময় প্রয়োজন, তাহলে অবশ্যই তাদের একসঙ্গে ঘোরাফেরা করা উচিত নয়। আমরা ওদের অভিভাবকদেরও বিষয়টা জানাবো।

১০ দিন আগে থেকেই বিয়ে নিয়ে ধন্দে থাকা প্রেমিক-প্রেমিকাদের খুঁজে বের করার জন্য হিন্দু মহাসভা পশ্চিম উত্তর প্রদেশে বিভিন্ন দল নিযুক্ত করেছে বলে জানান মহাসভার সভাপতি।

এই গোষ্ঠীর আগ্রার প্রতিনিধি মহেশ চন্দনা জানান, যদি ভারতের সকল মানুষ হিন্দু হতেন তাহলে আমরা অসবর্ণ বিয়ে মেনে নিতাম। কিন্তু তা যেহেতু নয়, তাই প্রেমীযুগলকে শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।

তবে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি হিন্দু সম্মেলন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এই বছর ভালোবাসা দিবসে জোর করে বিয়ে দেওয়া থেকে বিরত থাকছে বজরঙ্গ দলটি।