Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

Taioan-biman

তাইওয়ানের ট্রান্সএশিয়ার যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনো ১২ জন নিখোঁজ রয়েছে। তাই নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

chardike-ad

কর্মকর্তারা জানান, বিধ্বস্ত বিমান থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ১৫ আরোহীকে। গত রাতে নদীতে ভাসমান বিধ্বস্ত বিমানের ধ্বংসাবশেষ ওপরে তুলে আনা হয়েছে। বিমানটিতে ৫৮ জন আরোহী ছিলেন। যাদের মধ্যে ৩১ জন চীনের পর্যটক।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ রুটের এটিআর-৭২ ফ্লাইটটি বুধবার সকালে তাইপের সংহান বিমানবন্দর থেকে তাইওয়ানের উপকণ্ঠে কিনম্যান বিমানবন্দরে যাওয়ার জন্য উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই কিলাঙ নদীতে বিধ্বস্ত হয়।

তাইওয়ানের সরকারি এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সির (সিএনএ) প্রতিবেদনে বলা হয়, একটি সড়ক সেতুতে ধাক্কা খাওয়ার পর বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং নদীতে পড়ে যায়।

চেন নামের একজন স্বেচ্ছাসেবী উদ্ধারকর্মী রয়টার্সকে বলেন, ‘আমি এর আগে কখনো এমন কিছু দেখিনি। আমার কাছে এই বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা ভিডিও গেমের মতো মনে হয়েছে। ’

আপলোড করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিমানটি উঁচু একটি ব্রিজের সঙ্গে ধাক্কা খাওয়ার পর নদীতে ভূপতিত হচ্ছে। টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা যায়, দুর্ঘটনার পর বেঁচে যাওয়া আরোহীরা লাইফ জ্যাকেট পরছে এবং হাতড়ে বা সাঁতার কেটে পানি থেকে উঠে আসার চেষ্টা করছে।

কয়েকজনকে রাবারের নৌকায় করে পাড়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, যাদের মধ্যে একটি ছোট শিশুও রয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা নিখোঁজ আরোহীদের সন্ধানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

দুর্ঘটনার পর ট্রান্সএশিয়ার প্রধান নির্বাহী পিটার চেন এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনার জন্য যাত্রী ও ক্রুদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।

গত জুলাইয়ে তাইওয়ানে ট্রান্সএশিয়া এয়ারওয়েজের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৪৮ জন নিহত হন।

তথ্যসূত্র : বিবিসি।