ছোট ছেলের মৃত্যুর খবর পাওয়ার ২৪ ঘণ্টা পরও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শোকে নির্বাক। দল, জোট এবং পরিবারের লোকজন সমবেদনা জানাতে গুলশানে তার অফিসে আসছেন। বেগম জিয়ার ঘনিষ্ঠ একজন সহকারী শিমুল বিশ্বাস জানিয়েছেন, কারো সাথেই কথা বলছেন না তিনি।
ঘনিষ্ঠ পারিবারিক সদস্যরা ছাড়া কারো সাথে তিনি দেখাও করছেন না। “প্রিয় সন্তানের মৃত্যুতে প্রচণ্ড মানসিক আঘাত পেয়েছেন তিনি। এর মধ্যে বাসে আগুন দেওয়ার মামলায় তাকে আসামী করা হয়েছে। বুঝতেই পারছেন তার মনের অবস্থা।”
শিমুল বিশ্বাস জানান, পরিবারের ইচ্ছা আরাফাত রহমান কোকোকে মঙ্গলবার দেশে এনে জানাজার পর ঢাকার দাফন করার। প্রয়াত কোকোর মামা শামিম এস্কান্দার এজন্য মালয়েশিয়া রওয়ানা হয়েছেন।
মরদেহ দেশে আনার ব্যাপারে সরকারের সাথে যোগাযোগ হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে শিমুল বিশ্বাস বলেন, এ ব্যাপারে সরকারকে জানানোর প্রয়োজন কেন হবে।
গতকাল (শনিবার) সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, আরাফাতের মরদেহ আনার ব্যাপারে সরকারের নীতিগত কোনো আপত্তি নেই।
তিনি বলেন, এ নিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা হলে সরকার সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
গতকাল শনিবার বাংলাদেশ সময় সাড়ে ১২টার দিকে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে মারা যান কোকো। আজ রোববার বাদ জোহর কুয়ালালামপুরের মসজিদে নাগারায় তার প্রথম জানাজা হয়েছে। তার মরহেদ রাখা হয়েছে ইউনিভার্সিটি অব মালায়া হাসপাতালের হিমঘরে। আগামী মঙ্গলবার তার মরদেহ দেশে আনার কথা রয়েছে।
সূত্র: বিবিসি