প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ দেশে আনা হচ্ছে। এ দিন বাদ আসর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে রোববার বাদ জোহর মালেয়শিয়ার নিগারা জাতীয় মসজিদে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার পর কোকোর মরদেহ ইউনিভার্সিটি অব মালয় হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। বিএনপি খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কান্দার ও কোকোর দুই ফুফা লাশ নিয়ে মঙ্গলবার দেশে ফিরবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান রাইজিংবিডিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে রোববার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী জানিয়েছেন, ‘আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুতে আগামী সোম, মঙ্গল ও বুধবার বাংলাদেশ দেশব্যাপী শোক দিবস পালন করবে বিএনপি।’
শোক দিবস উপলক্ষে দেশের সব দলীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং নেতা-কর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করবেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার ঢাকায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বাদ আসর মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর নামাজে জানাজা এবং আগামী বুধবার সারা দেশে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীকে শোক কর্মসূচি পালনের জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি।
শনিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মালেয়শিয়ায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান আরাফাত রহমান কোকো।
সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সেনানিবাসের বাড়ি থেকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে গ্রেফতার হন কোকো। ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরের দিন চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যান তিনি। থাইল্যান্ড যাওয়ার পর মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় সেখান থেকে মালয়েশিয়ায় চলে যান কোকো। সেখানেই শনিবার তিনি মৃতুবরণ করেন।