৫ জানুয়ারিকে (সোমবার) সামনে রেখে রবিবার থেকেই দেশব্যাপী সহিংসতা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। স্থানে স্থানে গাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পরিস্থিতি ক্রমেই থমথমে হয়ে উঠছে। ঢাকায় অন্তত দশটি পয়েন্টে গাড়িতে আগুন দিয়েছে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতকারীরা। তবে এসব ঘটনায় কোন হতাহতের খবর এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায় নি।
রবিবার সন্ধ্যায় আজিমপুর মোড়ে একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয়া হয়। তবে এসময় বাসে কেউ ছিল না বলে জানা যায়। এর আগে বিকেলে রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় সদরঘাট থেকে মিরপুরগামী তানজিল পরিবহণের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় যাত্রীরা দ্রুত নেমে যাওয়ায় হতাহতের কোন ঘটনা ঘটে নি।
এছাড়া মতিঝিল ও দৈনিক বাংলা মোড়ে দুটি প্রাইভেট গাড়ি; খিলগাও ও পোস্তগোলায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা; পোস্তগোলা, কুড়িল, গেণ্ডারিয়া, তেজগা, উত্তরায় যাত্রীবাহী বাস ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে একটি দূরপাল্লার বাসে আগুন দেয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ঢাকার বাইরে গাজীপুরের শিববাড়ি ও চান্দনা চৌরাস্তায় প্রায় একই সময় দুটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বাস দুটি যাত্রী বোঝাই থাকলেও সকল যাত্রী নেমে যাওয়ায় কোনো হতাহতদের ঘটনা ঘটেনি। ময়মনসিংহ থেকেও গাড়ি পোড়ানোর খবর পাওয়া গেছে।
চাঁদপুরে একটি ব্যাংক কার্যালয়সহ বেশ কিছু গাড়িতে ভাংচুর চালানো হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রদল কর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে ট্রেন চলাচল ব্যহত হয়েছে।
এর আগে প্রশাসনের নির্দেশে রবিবার দুপুর থেকে ঢাকার সাথে সারা দেশের দূরপাল্লার বাস যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতে শুরু করেছে। সন্ধ্যা থেকে বন্ধ রয়েছে লঞ্চ চলাচলও।
বিকেল থেকেই ঢাকার বিভিন্ন রাস্তায় নিরাপত্তা জোরদার করতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের গুরুত্বপূর্ণ সব জেলা শহরেই বিজিবি নামছে বলে জানা গেছে।