আগামীকাল ৫ জানুয়ারি সোমবার রাজধানী ঢাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে সৃষ্ট উত্তজনায় আজ রোববার সন্ধ্যার আগেই পুরানা পল্টন এলাকা প্রায় ফাঁকা হয়ে গেছে।
বিকাল ৫টার দিকে পুরানা পল্টন মোড় ও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের আশপাশের চিত্র ছিল অনেকটা থমথমে। দুপুর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুনও দেওয়া হয়।
অবশ্য এর আগে দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার মধ্যে ঢাকা মহানগরে সব ধরনের মিছিল, সভা, সমাবেশ ও জমায়েত নিষিদ্ধ করে মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ বিকেল ৫টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
বিকেল ৫টার দিকে পল্টন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, ফুটপাতের প্রায় সব দোকান বন্ধ। যাদের খোলা আছে তারাও ব্যস্ত ছিল দোকান বন্ধের কাজে। পুরানা পল্টন থেকে দৈনিক বাংলার রাস্তায় মাঝে-মধ্যে দুয়েকটি বাস চলাচল করছিল; প্রাইভেট গাড়ি ছিল হাতে গোনা।
প্রসঙ্গত, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি পূরণ না হওয়ায় ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি নবম জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধীদল বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গীরা।
এই দিনটিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ হিসেবে উদযাপন করতে চাইছে। এর অংশ হিসেবে ঢাকার ১৬টি স্থানে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। তবে সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞার পর কর্মসূচি পালন না করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
আর বিএনপি দিনটিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করার লক্ষ্যে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেসহ ৩টি স্থানে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়েছিল। পুলিশ তাদের অনুমতি না দিলেও কর্মসূচি পালনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অনড় রয়েছেন বলে তার সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বিএনপিপন্থী সাংবাদিক ও আইনজীবীরা।
এ ছাড়া এক বিবৃতিতে দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলটির নেতাকর্মীদের পাশাপাশি দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক সব দল ও শক্তিকে যেকোনো মূল্যে আগামীকাল ৫ জানুয়ারিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।
সূত্রঃ অর্থসূচক