দরজায় কড়া নাড়ছে বিশ্বকাপের ১১তম আসর। অথচ দলের সেরা খেলোয়াড়কে নিয়ে যেন অনেকটাই উদাসীন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। জিম্বাবুয়ে সিরিজের পর প্রিমিয়ার লিগে অংশগ্রহণ থেকে তামিম ইকবালকে কিছুদিন সরিয়ে রাখা হলেও শেষ পর্যন্ত হাঁটুর ইনজুরি পুরোপুরি সেরে ওঠার আগেই মাঠে নামেন জাতীয় দলের হার্ড হিটার এ ওপেনার। আর গতকাল জাতীয় দলের প্রধান চিকিত্সক জানালেন, তামিমের চোট নিয়ে নিজের দুশ্চিন্তার কথা। এমনকি তার সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
২০১৫ ক্রিকেট বিশ্বকাপে তামিমের থাকা না থাকাটা এখন অনেকটাই নির্ভর করছে অস্ট্রেলিয়ান চিকিত্সক ডেভিড ইয়াংয়ের ওপর। অস্ট্রেলিয়ান এ শল্যবিদের পরামর্শের ভিত্তিতেই তামিমের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বিসিবি ও বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নির্বাচকরা। তার চেয়েও বড় কথা তামিমকে ফের কাঁচির নিচে যেতে হবে নাকি বিশ্রাম নিয়েই পার পাবেন, সেটিও জানা যাবে ইয়াংয়ের সঙ্গে কথা বলার পর।
হাঁটুর ইনজুরি বাঁহাতি ওপেনারকে ভোগাচ্ছেন বেশকিছু দিন ধরেই। কিন্তু জিম্বাবুয়ে সিরিজের পর প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেটে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে গ্রুপ পর্বের শেষ দুটি ম্যাচে মাঠে নামেন ড্যাশিং এ ওপেনার। তবে ব্যাটিংয়ের সময় ব্যথা অনুভব করায় দ্বারস্থ হন চিকিত্সকের। আর তাতেই জানা যায়, তামিমের চোট আরো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। কিন্তু তামিমের মতো বিষয়টি নিয়ে এত দিন অনেকটাই উদাসীন ছিলেন বোর্ড কর্তারা।
বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ আসরে পুরনো ইনজুরি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে— প্রধান চিকিত্সকের এমন মতামত পাওয়ার পর এবার নড়েচড়ে বসেছে বিসিবি। গতকাল এ বিষয়ে বিসিবির প্রধান চিকিত্সক দেবাশিষ চৌধুরী বলেন, ‘বিশ্বকাপের আগে তামিম ইকবালের চোট নিয়ে আমরা চিন্তিত। অবশ্য এ ধরনের চোট নিয়ে অনেক ক্রিকেটারই খেলে থাকেন। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে একজন খেলোয়াড়ের জন্য অবশ্য এটা ক্ষতিকারক।’
এরই মধ্যে তামিমের এমআরআই রিপোর্ট পাওয়া গেছে। আর সেটা খুব একটা ভালো না হওয়ায় অস্ট্রেলিয়ান শল্যবিদের পরামর্শ নেয়ার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ সম্পর্কে দেবাশিষ বলেন, ‘বিসিবি তামিমের চোটের প্রাথমিক এমআরআই রিপোর্ট হাতে পেয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে এখনই কিছু বলতে চাই না আমরা। অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ইয়াংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তার পরামর্শের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
উল্লেখ্য, চিকিত্সকের ভাষ্য, তামিমের রিপোর্ট যদি ইতিবাচকও হয়, তাহলে চার সপ্তাহ অর্থাত্ এক মাসের বিশ্রাম নিয়েই মাঠে ফিরতে পারবেন তিনি। সেক্ষেত্রে বেঁচে থাকবে তামিমের বিশ্বকাপ স্বপ্ন। কিন্তু রিপোর্ট যদি খারাপ হয়, তাহলে ঠিক কত দিন মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে, তা বলাটা কঠিন। কেননা সেক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার করতে হবে তামিমকে। বণিকবার্তা।