আবুধাবির শেখ জায়েদ ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ সবেমাত্র শেষ হয়েছে। মাঠে চলছে পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান। পাকিস্তান দলের অধিনায়ক আফ্রিদিকে ডাকা হলো পুরস্কার গ্রহনের জন্য।মাস্টার ব্লাস্টারের পুরস্কারের চেক হাতে তুলে দিচ্ছেন স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের এক মহিলা। ঘোষণা ঘোষণা দিতেই হেঁটে এলেন আফ্রিদি। চেক লেখা হোর্ডিংটি হাতে নিলেন এবং ছবির জন্য পোজ দিতে দাঁড়িয়ে গেলেন।
কিন্তু ওইদিকে স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের যে কর্মকর্তা হোর্ডিংটি হাতে তুলে দিচ্ছিলেন তিনি এক তরুনী। চেক তুলে দেয়া তরুনীটি হ্যান্ডশেকের জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু আফ্রিদির সে দিকে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। তাকালেনও না তরুনিটির দিকে। না দেখার ভান করেই সামনের দিকে তাকিয়ে ছবি তুলে সরে দাঁড়ালেন।
আফ্রিদি হ্যান্ডশেক না করায় বেশ বিব্রত হয়ে পড়েন তরুণীটি। কাঁচুমাচু করে সামনের দিকে তাকিয়ে ছবির জন্য পোজ দেন লাল শার্ট আর কালো ট্রাউজার পরা ওই তরুনীটি।
আফ্রিদির হ্যান্ডশেক না করার ওই দৃশ্যটির একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এ নিয়ে চলছে চুলছেরা বিশ্লেষন। কেউ বলছেন আফ্রিদি ইচ্ছা করেই তরুনিটিকে এড়িয়ে গেছেন। কেউ বলছেন, তিনি হয়তো তরুনিটি যে হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সেটা খেয়ালই করেননি।
তবে একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান হিসাবে শহীদ আফ্রিদির যে আলাদা একটা সুনাম আছে সে কথা কারোই অজানা নয়, তাই বেশীর ভাগ মানুষেরই ধারণা সচেতনভাবেই তরুণীর সাথে হাত মেলানো উপেক্ষা করেছেন আফ্রিদি।