‘আল্লাহ আমাদের রক্ষা করেছেন। আর নরক যন্ত্রণায় পড়তে চাই না। দেশে ফিরতে পেরে লাখো শুকরিয়া। আপনাদের কাছে আমাদের আর্তি ভারতের খারাপ জায়গায় আরো ২০০ বাংলাদেীশ তরুণী যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। তাদের রক্ষা করুন।’
ভারতে পাচারের শিকার বৃষ্টি রোজিনা ফেরদৌস মারুফা ও খুশিসহ দুই বছর পর দেশে ফিরে আসা তরুণীরা এভাবেই তাদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করছিলেন।
সোমবার সন্ধায় বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দীর্ঘ দুই বছর পর দেশে ফেরে ৪৮ বাংলাদেশি তরুণী। তাদের বাড়ি যশোর, সাতক্ষীরা, নড়াইল, বাগেরহাট, খুলনা, ফরিদপুর, কক্সবাজার, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায়। ভারতের পেট্রাপোল চেকপোস্টের বিএসএফ ও ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদেরকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন ও বিজিবি’র কাছে হস্তান্তর করেন।
বেনাপোল চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশন ওসি মনিরুজামান মনির জানান, মিথ্যা প্রলোভনে ভাল চাকরির আশায় ভারতের মুম্বাইয়ে পাচার হয়ে যায় এসব তরুণী। তবে চাকরির বদলে তাদের ঠাঁই হয় বিভিন্ন হোটেল, বার ও যৌন পল্লীতে।
মুম্বাইভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা রেসকিউ ফাউন্ডেশন ও যশোরের মানবাধিকার সংগঠন রাইটস যশোরের প্রচেষ্টায় এসব নারী দেশে ফিরেছেন। রেসকিউ ফাউন্ডেশন তাদেরকে উদ্ধার করে প্রায় এক বছর শেল্টারহোমে রেখেছিল।
রাইটস যশোরের তথ্য ও গবেষণা অফিসার বজলুর রহমান বলেন, দেশে ফেরত আসা তরুণীদের পোর্ট থানা পুলিশের মাধ্যমে ঢাকা আহছানিয়া মিশনে নেওয়া হবে। পরে তাদের নিজ নিজ অভিভাবকের কাছে ফেরত পাঠানো হবে।
ফেরত আসা মারুফা বলেন, ‘আমরা যেভাবে ভুল করেছি আর যেন কোনো নারী এমন ভুল না করে।’