দক্ষিণ কোরিয়ায় আমদানি করা পণ্যের দাম টানা নবম মাসের মতো কমেছে নভেম্বরে। আমদানি মূল্যে ২৩ বছরের মধ্যে দীর্ঘতম নিম্নমুখী প্রবণতা দক্ষিণ কোরিয়ার ভোক্তাপর্যায়ে মূল্যস্ফীতি আরো কমিয়ে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা। খবর সিনহুয়া।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ উপাত্ত অনুসারে, আমদানি করা ম্যানুফ্যাকচার্ড পণ্য, জ্বালানি ও কাঁচামালের দাম আগের মাসের চেয়ে দশমিক ৮ শতাংশ কমেছে নভেম্বরে। এক বছর আগের তুলনায় তা ৭ দশমিক ৯ শতাংশ কম।
ব্যাংক অব কোরিয়া (বিওকে) বলছে, টানা নবম মাসের মতো আমদানি ব্যয় কমল, যা ১৯৯১ সালের পর দীর্ঘতম। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমায় আমদানি ব্যয় আরো কমছে। অক্টোবরে ১০ দশমিক ২ শতাংশ কমার পর নভেম্বরে আরো ১১ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে দুবাই ক্রুড। দুবাই থেকেই সিংহভাগ তেল কেনে এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ কোরিয়া।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরেই আন্তর্জাতিক বাজারে কমছে খনিজ ও কৃষিজ বেশির ভাগ কাঁচামালের দামও, যা সার্বিক আমদানি ব্যয় কমিয়ে আনতে বড় ভূমিকা রাখছে।
তবে কোরীয় মুদ্রা ওনের মান কিছুটা কমায় আমদানি ব্যয়ে সংকোচন কিছুটা কম হয়েছে। নভেম্বরে ডলারের বিপরীতে ৩ শতাংশেরও বেশি অবমূল্যান হয়েছে মুদ্রাটির।
উত্পাদক-পাইকার-ভোক্তা সব পর্যায়েই মূল্যস্ফীতি হ্রাস নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে বিওকে। আমদানি করা পণ্যের মূল্য কমতে থাকায় মূল্যস্ফীতি আরো কমার আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা। বণিকবার্তা।