অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে মিয়ানমার সীমান্তে আটক হওয়া ৬২৫ জন যাত্রীকে মঙ্গলবার চট্টগ্রামে এনেছে নৌবাহিনী। উদ্ধারকারী জাহাজ বিএনএস দুর্জয় রাত আটটায় মিয়ানমারের ফিশিং ট্রলারসহ চট্টগ্রাম বন্দরের ১৫ নম্বর ঘাটে নোঙর করে।
উদ্ধারকারীরা জানান, যাত্রীদের ৯০ শতাংশ বাংলাদেশি। বাকিরা মিয়ানমারের। অনেকেই অবৈধপথে মালয়েশিয়া যাচ্ছিল স্বপরিবারে! জানা গেছে, ট্রলারটিতে এক বছরের শিশু থেকে শুরু করে ৮৫ বছরের বৃদ্ধও রয়েছে। নারী রয়েছে ৩১ জন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, মালয়েশিয়ায় থাকা স্বামী সপরিবারে বিদেশ পাড়ি দিতে বলায় এভাবে ট্রলারে উঠেছেন তারা। কেউ সাতদিন; কেউবা ১২ দিন ধরে এই ট্রলারে। কেউ মিয়ানমারের মংডু থেকে, কেউবা বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে উঠেছেন ট্রলারে। সবার গন্তব্য মালয়েশিয়া।
ট্রলারের যাত্রী তৈয়বা বলেন, “আমার স্বামী দেড় বছর ধরে মালয়েশিয়ায়। তার কথা মতোই চার সন্তানকে নিয়ে এই ট্রলারে উঠেছি।”
আরেক যাত্রী আয়েশা বলেন, “স্বামীর কথায় শুধু এক কাপড়ে দুই সন্তানসহ ট্রলারে উঠেছি। এজন্য কাউকে টাকা দিতে হয়নি। থাইল্যান্ডে যাওয়ার পর টাকা পরিশোধ করতে হবে বলে জানিয়েছে আমার মালয়েশিয়া প্রবাসী স্বামী মেরুল্লা।”
বানৌজা দুর্জয়ের কমান্ডিং অফিসার নাঈম ইকবাল জানান, উদ্ধারদের ‘রেডি রেসপন্স বার্থে’ প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে ৫৫৫ জন পুরুষ, ৩১ জন নারী ও ২৬টি শিশু। আটকদের মধ্যে মিয়ানমারের ১১ জন পাচারকারী এবং ২ বাংলাদেশি দালাল রয়েছে।”
অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ থেকে ৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ৬১৪ আরোহীসহ একটি ট্রলার আটক করে নৌবাহিনী।