সময় পাল্টেছে। পাল্টেছে বাংলাদেশের খেলার মান। বেড়েছে খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস। সেই আত্মবিশ্বাসের জোরেই আজ বাংলাদেশ পারছে প্রতিপক্ষকে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করতে। এর আগেও অনন্য এ অর্জন করেছিল টাইগাররা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ২০০৯ সালে তাদের বিপক্ষে। তবে সেটা ছিল দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ।
এবার জিম্বাবুয়েকে হারাল ৩-০ ব্যবধানে। তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ। টেস্ট খেলুড়ে দশ দলের মধ্যে অষ্টম দল হিসেবে এ রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ে ও নিউজিল্যান্ড এখনো এ রেকর্ড গড়তে পরেনি।
রোববার অভিজাত এই ক্লাবে প্রবেশ করতে জিম্বাবুয়ের ৯ উইকেট প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। ৯ উইকেট তুলে নিতে ৬৬ ওভার করতে হয় টাইগার বোলারদের। ১৮৬ রানে জয় পায় মুশফিকের দল।
স্বপ্নের পথে যাত্রা শুরু হ্যামিলটন মাসাকাদজার উইকেট দিয়ে। অযথা রিভার সুইপ করতে গিয়ে শুভাগত হোমের বলে মুশফিকের হাতে তালুবন্দি হন ৩৮ রান করা মাসাকাদজা। এরপর শুভাগতর দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন সিকান্দার রাজা।
প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসে অর্ধশতক হাঁকান এই ওপেনার। ৬৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ২০০১ সালের পর এবারই প্রথম জিম্বাবুয়ের কোনো ওপেনার এক টেস্টের দুই ইনিংসে অর্ধশতক হাঁকান।
শুভাগতের দুই উইকেটের পর জিম্বাবুয়ের অধিনায়কের উইকেট তুলে নেওয়ার দায়িত্বটা নিজ কাঁধেই নেন তরুণ লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেন লিখন। পয়েন্টে সাকিবের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ২৪ রান করেন টেলর। এরপর একে একে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের সাজঘরের পথ দেখান স্পিনার ও পেসাররা।
তবে দাপটের সঙ্গে ব্যাট করে যান চাকাবা। বাংলাদেশের জয়ের উল্লাসটা আটকে রাখেন তিনি। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত ৮৯ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। প্রথম ইনিংসেও ৬৫ রান করেন তিনি।
বাংলাদেশি বোলারদের হয়ে রুবেল হোসেন, শফিউল ইসলাম, তাইজুল ইসলাম ও শুভাগত হোম দুটি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও জুবায়ের হোসেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩০ রান করায় ম্যাচ-সেরা নির্বাচিত হয়েছেন মুমিনুল হক। সিরিজ সেরা সাকিব আল হাসান। তিন ম্যাচে ২৫১ রান ও ১৮ উইকেট পেয়েছেন সাকিব।
এর আগে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৫০৩ রান সংগ্রহ করে। জবাবে জিম্বাবুয়ে ৩৭৪ রানে আটকে যায়। ১২৯ রানের লিড নিয়ে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে। ৫ উইকেটে ৩১৯ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেন মুশফিক। মোট লিড দাঁড়ায় ৪৪৮ রানের।
টেস্ট মিশন শেষ। এবার ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। চট্টগ্রামে দুটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে দল। ২১ ও ২৩ নভেম্বর দিবারাত্রির ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে।