ঘাতকব্যাধি ইবোলা ভাইরাসের বিরুদ্ধে পরীক্ষামূলক ওষুধের ব্যবহার শুরু হচ্ছে আগামী মাসে।
চিকিৎসাসেবার অর্ন্তজাতিক ত্রাণ সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস বা মেডিসিন সানস্ ফ্রন্টিয়ার্স (এমএসএফ) এ চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করবে।
বৃহস্পতিবার বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, এ সংস্থা আগামী মাস থেকে পশ্চিম আফ্রিকার কয়েকটি ক্লিনিকে ইবোলা রোগের বিরুদ্ধে তিনটি নতুন ওষুধের পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু করবে।
ইবোলা ভাইরাস সংক্রমণের পর প্রথম ১৪ দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এ সময়ে এমএসএফ চিকিৎসকরা দুটি অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ এবং ইবোলা থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া রোগীর রক্তের প্লাজমা ব্যবহার করে নতুন করে ইবোলায় আক্রান্তদের বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করবেন।
এমএসএফ বলেছে তাদের তিনটি চিকিৎসা কেন্দ্র পৃথক তিনটি স্থানে তাদের গবেষণা কার্যক্রম শুরু করবে। এর মধ্যে একটি পরীক্ষা চালাবে তারা গিনির রাজধানী কোনাক্রিতে। এখানে ইবোলা আক্রান্ত রোগির চিকিৎসার জন্য এ রোগ থেকে আরোগ্য লাভকারী ব্যক্তির রক্ত ব্যবহার করবে।
এ ছাড়া গিনি এবং অজ্ঞাত একটি স্থানে তারা দুটি অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধের পরীক্ষা চালাবে।
এমএসএফের মুখপাত্র ড. অ্যানিক অ্যান্টাইরেন্স বলেন, এ কার্যক্রম একটি নজিরবিহীন আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা যাতে এ রোগের সত্যিকারের চিকিৎসা প্রদান সম্ভব হবে বলে তারা আশা করছে।
সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয় যে, এই ওষুধগুলো ইবোলার অলৈাকিক নিরাময় ঘটাবে সে নিশ্চয়তা দেওয়া যাচ্ছে না। তবে ইবোলা চিকৎসার কার্যকর প্রতিষেধক খুঁজে বের করার সম্ভাবনা বাড়াতে আমাদের বর্তমানে প্রাপ্য ওষুধের পরীক্ষা চালাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে।
ইবোলা ভাইরাসে এ পর্যন্ত ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে যার বেশিরভাগই আফ্রিকায়। এ রোগে আক্রান্তদের মৃত্যুর হার ৫০ থেকে ৮০ ভাগ।
পশ্চিম আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে এ পর্যন্ত পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ ইবোলা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।