ঘুষকে বৈধ ঘোষণা দেওয়ায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবুল মুহিতকে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার ও তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরাম।
বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এই দাবি জানান।
বিবৃতিতে শীর্ষ আলেমগণ বলেন, ৯৫ ভাগ মুসলমানের এদেশে কাদের খুশি করার জন্য বা কিসের লোভে আবুল মাল আবুল মুহিত একজন মুসলিম হওয়ার পরও কাণ্ডজ্ঞানহীনভাবে ইসলাম বিদ্বেষী উক্তি করেছেন তা আমরা বুঝতে পারছি না।
যে ঘুষকে দুনিয়ার কোন কাফের-বেঈমানরাও বৈধ বলার দুঃসাহস দেখাইনি! ইতিপূর্বেও তিনি ইসলামি দল ও ইসলামি ব্যক্তিত্বদের নিয়ে ‘রাবিশ’ উক্তি করে বাতিলের পক্ষ নিয়েছিলেন। সরকার যদি এখনি এ সমস্ত ধর্মদ্রোহী মুরতাদদের শায়েস্তা না করে তাহলে তারা পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন ইসলাম বিরোধী কটূক্তি করতেই থাকবে।
তারা সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেন- অবিলম্বে নব্য মুরতাদ আবুল মাল আবুল মুহিতকে মন্ত্রীসভা থেকে বহিষ্কার করে তাকে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। মুরতাদদের কঠোর শাস্তি সম্বলিত বিশেষ আইন প্রনয়ণ করে আব্দুল মুহিত ও লতিফ সিদ্দিকীসহ সকল মুরতাদের দৃষ্টাস্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। যাতে আর কোনো ধর্মদ্রোহী নরপশু, কুলাঙ্গাররা ইসলাম ও ইসলামি বিধি বিধান নিয়ে তামাশা করার দু:সাহস দেখাতে না পারে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন- শাইখ মাওলানা আবদুল মোমিন, রাবেতা আলম আল-ইসলামীর স্থায়ী সদস্য ও সম্মিলিত উলামা মাশায়েখ পরিষদের সভাপিত মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রধান আমিরে শরীয়ত মাওলানা শাহ আহমদুল্লাহ আশরাফ, খেলাফত মজলিশের আমির মাওলানা মোহাম্মাদ ইসহাক, ইসলামী ঐক্যজোটের আমির মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী, হাফেজ্জে হুজুরের সাহেবজাদা হাফেজ মাওলানা আতাউল্লাহ, অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীন, মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, মাওলানা মহিউদ্দীন রব্বানী, ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমির ড. মাওলানা ঈসা শাহেদীসহ শতাধিক শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরাম।