আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, জামায়াতের নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে আপিল বিভাগের দেওয়া সংক্ষিপ্ত আদেশের অনুলিপি কারাগারে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে না।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে একটি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আইনমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার সরকার আইনের প্রতিটি ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রেখে সম্পন্ন করছে। কামারুজ্জামানের বিচারের ক্ষেত্রেও একই ধারা অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ,গত ৩ নভেম্বর আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনালের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন। সংক্ষিপ্ত এ রায়ের পর গতকালই কামারুজ্জমানের ফাঁসি কার্যকরের ব্যবস্থা করতে কারাধ্যক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এর আগে গত বছরের ৯ মে কামারুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
আপিল বিভাগের রায়ের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, কামারুজ্জামানের রায় কার্যকরের ক্ষেত্রে জেলকোডের বিধান মানার প্রয়োজন নেই। সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে রায় কার্যকরের বিষয়টি।
তবে কামারুজ্জামান ৭ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে পারবেন বলেও জানান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এ হিসেবে আগামীকালকে শেষ হচ্ছে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদনের সময়সীমা।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার সকালে কামারুজ্জামানের সঙ্গে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তার আইনজীবীরা দেখা করার পর সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তিনি তাদেরকে রিভিউ করার পরামর্শ দিয়েছেন।
কামারুজ্জামান রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না- এ প্রশ্নের জবাবে তারা জানান, কামারুজ্জামান তাদের আগে রিভিউ করার কথা বলেছেন। এরপর রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন কি না- এ বিষয়ে তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন।
দ্রুত ফাঁসি কার্যকরের বিষয়ে তারা জানান, পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর রিভিউয়ের সুযোগ রয়েছে। এর আগে রায় কার্যকরের কোনো সুযোগ নেই।