Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

office-workকর্মস্থানে টানা কাজ করার ফলে অনেকেই পিঠে-কোমরে ব্যথার মতো কিছু সমস্যাসহ নানান অস্বস্তিতে ভোগেন। এই পিঠ ব্যথার সমস্যা হয়ত দীর্ঘ সময়ব্যাপী হতে পারে এবং মাংসপেশী, অস্থিসন্ধি, লিগামেন্টসহ যে কোনো স্থানে করে বসতে পারে বড় কোনো ক্ষতি।

কিন্তু কিছু সাবধানতা এবং অভ্যাস এ ধরনের সমস্যা থেকে খুব সহজেই রেহাই দিতে পারে। জেনে নিন তেমনই কিছু বিষয়, যেগুলো শারীরিক ও মানসিক অবস্থাকে রাখবে চনমনে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত অস্বস্তি থেকে রেহাই দেবে।

chardike-ad

সোজা হয়ে বসার অভ্যাস করুন
কিছু মানুষ আছেন যারা নিজের ডেস্কে কাজ করার সময় একটু কুঁজো হয়ে বা বেঁকে বসেন। এটা খুবই খারাপ অভ্যাস। কারণ দীর্ঘসময় এভাবে থাকলে পিঠ ব্যথাসহ যে কোনো অস্বস্তির সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া অসাড়তা, মাংসপেশী শক্ত হয়ে যাওয়াসহ আরো কিছু সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। কাজেই কাজ করার সময় এমনভাবে বসুন, যেন আপনার উর্ধ্বাঙ্গ, কোমর থেকে হাঁটু পর্যন্ত এবং হাঁটু থেকে পায়ের বাকি অংশ পরস্পরের সঙ্গে ৯০ ডিগ্রি কোণ করে থাকে। বসার জন্য এমন একটা চেয়ার নির্বাচন করুন, যেখানে বসলে আপনার থাই মেঝের সমান্তরাল থাকে এবং সেই চেয়ারটার পেছন দিকটা এমনভাবে থাকে যেন সেখানে হেলান দিলে আপনি একটু আরাম অনুভব করেন।

ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ মনিটরটি ঠিক করে নিন
অনেকেই ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ মনিটর কী অবস্থায় আছে সে বিষয়ে বিশেষ খেয়াল করেন না। ডেস্কে বসেই কাজ শুরু দেন। কিন্তু একটু খেয়াল করলেই বুঝবেন, এই মনিটরের অবস্থানটাও আপনার পিঠ ব্যথাসহ বিভিন্ন অস্বস্তির জন্য দায়ী। কাজেই মনিটরটি আপনার চোখের সঙ্গে এমন একটা কোণে রাখুন, যাতে তা আপনার অস্বস্তির কারণ না হয়। এছাড়া যারা ল্যাপটপ ব্যবহার করেন, তারা ল্যাপটপের কিবোর্ড না ব্যবহার করে আলাদা কিবোর্ড ব্যবহার করতে পারেন। এতে কাজেরও সুবিধা হবে।

মাঝে মধ্যে একটু হাঁটাচলা করুন
অনেকে রোবটের মতো একটানা কোনো নড়াচড়া না করে কাজের মধ্যেই ডুবে থাকেন। কিন্তু এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা কাজের মধ্যে একটু হাঁটাচলা করেন, কর্মবিরতিতে বাইরে যান, তাদের কাজ করার হার রোবটের মতো একটানা কাজ করা মানুষের চেয়ে অনেক বেশি এবং এরা কাজের চাপজনিত শারীরিক কোনো সমস্যাতেও পড়েন না বললেই চলে।