বুয়েটে গতকাল অ্যাপস প্রতিযোগিতা নিয়ে অনুষ্ঠিত সেমিনারের অতিথিরামোবাইল ফোনের অ্যাপ বানিয়ে যেমন মানুষের সেবা করা যায়, তেমনি আয়ও করা যায়। কাজ ও সুবিধার বিচারে কম্পিউটারের চেয়ে কম যায় না ছোট আকারের স্মার্টফোন। স্মার্টফোনে নানা কাজের নানা অ্যাপ্লিকেশন তৈরিতে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম যেন পিছিয়ে না থাকে, সে জন্য প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গড়ে তুলতে হবে দক্ষ মানবসম্পদ। ‘ইএটিএল-প্রথম আলো অ্যাপস প্রতিযোগিতা ২০১৫’ নিয়ে গতকাল শনিবার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সেমিনারের প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, অ্যাপস তৈরির মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন করতে হবে, এ জন্য অন্য সবার মতো বুয়েটের শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসতে হবে।
বুয়েটের উপাচার্য খালেদা একরামের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তৃতা করেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যামসুন্দর শিকদার, রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহমেদ আল-কবির, বুয়েটের কম্পিউটার কৌশল বিভাগের প্রধান মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, এথিকস অ্যাডভান্সড টেকনোলজিস লিমিটেডের (ইএটিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মুবিন খান, গ্রামীণফোনের হেড অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স মাহমুদ হোসেন ও প্রথম আলোর যুব কর্মসূচি সমন্বয়ক মুনির হাসান।
সেমিনারে ইএটিএলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম আহমেদ জানান, বাংলাদেশে বর্তমানে ১১ কোটি ৭৫ লাখের বেশি মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী আছে। এই বিপুলসংখ্যক মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর জন্য অ্যাপ তৈরি করে একদিকে যেমন দেশের মানুষের সেবা করা হচ্ছে, অন্যদিকে তেমনি বিপুল পরিমাণ ব্যক্তিগত আয়ের সুযোগও তৈরি হচ্ছে।
সেমিনারের শেষে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল কুইজ প্রতিযোগিতা। এ ছাড়া বুয়েটে সারা দিন এ প্রতিযোগিতা নিয়ে চলে সচেতনতা কার্যক্রম। প্রতিযোগিতায় অ্যাপের ধারণাপত্র জমা দেওয়া যাবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত।
বিস্তারিত: www.eatalapps.com