জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রটারি মুহাম্মদ কামারুজ্জামান বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে নয়, ইসলামি আদর্শের রাজনীতি করার কারণে তার ফাঁসির রায় দেয়া হয়েছে। তিনি আশঙ্কা করছেন, নির্ধারিত সময়ের আগেই সরকার তাকে হত্যা করতে পারে। তিনি পরিবারের সদস্যদেরকে চিন্তা না করে আল্লাহর ওপর ভরসা করতে বলেছেন। বুধবার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্ত্রী, ভাই সন্তানসহ ৯ জন তার সঙ্গে সাক্ষাত করতে যান। প্রায় ৫০ মিনিট সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন কামারুজ্জামানের বড় ছেলে ইকবাল হাসান ওয়ামি।
ওয়ামি জানান, বাবা পরিবারের কাউকে চিন্তা না করতে বলেছেন। আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে আদর্শের ওপর অবিচল থাকার কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, “ইনশাআল্লাহ, আমার এই আদর্শ একদিন এদেশের মাটিতে বিজয়ী হবেই, হবে।”
রায় প্রসঙ্গে কামারুজ্জামান বলেছেন, “আমি কোনো অপরাধী নই। প্রমাণের ভিত্তিতে নয়, রূপকথার ভিত্তিতে রায় দেয়া হয়েছে। এটি একটি রূপকথার গল্প। এটি ন্যায়ভ্রষ্ট রায়। আমার ওপর যারা জুলুম করেছে তাদের বিচার একদিন হবে।”
এ সময় হাসান ইকবাল বলেন, “রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি হাতে পেলে ৩০ দিনের মধ্যে রিভিউ করা হবে। সেভাবেই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাক্ষাতের অনুমতি পেয়ে কামারুজ্জামানের স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে, ভাই, মামা, চাচাসহ ৯ সদস্যের একটি দল কারাগারে প্রবেশ করেন। সাক্ষাৎ শেষে বের হয়ে বড় ছেলে হাসান ইকবাল সাংবাদিকদের এ বিষয়ে জানিয়েছেন।
কামারুজ্জামানকে মঙ্গলবার কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনার পর কারা সাক্ষাতের অনুমতি চেয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন স্বজনরা। কারা কর্তৃপক্ষ তাদের সকাল বুধবার সকাল ১০টায় সময় নির্ধারণ করেন দেন।
আইনজীবী শিশির মো. মুনির বলেন, “এটা তাদের নিয়মিত সাক্ষাত। কারাগার থেকে তাদের সাক্ষাতের জন্য ডাকেনি।” সূত্রঃ নতুনবার্তা।