মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে গেছেন তার স্বজনরা।
আজ বুধবার সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় কারাগারে পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে দেখা করতে যান।
এটা নিয়মিত সাক্ষাতের অংশ বলে জানিয়েছেন তারা।
কামারুজ্জামানের বড় ছেলে হাসান ইকবাল জানান, কামারুজ্জামানকে মঙ্গলবার কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনার পর কারা সাক্ষাতের অনুমতি চেয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন তারা। কারা কর্তৃপক্ষ তাদের বুধবার সকাল ১০টায় সাক্ষাতের অনুমতি দেন।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি বহাল রাখেন। মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ কামারুজ্জামানকে এ দণ্ড দিয়েছিলেন।
সোহাগপুর গ্রামে গণহত্যার দায়ে এই স্বাধীনতাবিরোধীকে দোষী সাব্যস্ত করে চূড়ান্ত রায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এর ফলে একাত্তরে ময়মনসিংহ অঞ্চলের কুখ্যাত এই আলবদর বাহিনীর প্রধান কামারুজ্জামানকে ফাঁসির মঞ্চে যেতেই হচ্ছে।
যুদ্ধাপরাধের দায়ে গত বছরের ৯ মে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। সে সময় এই রায়কে ‘রং হেডেড জাজমেন্ট’ বলেছিলেন যুদ্ধাপরাধী কামারুজ্জামান।
এর বিরুদ্ধে আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষ দুটি আপিল করে। আদালত কামারুজ্জামানের আপিল আংশিক মঞ্জুর করে সোমবার রায় দেন।
ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু বলেছেন, রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি পাওয়ার পর তা ট্রাইব্যুনালে গেলে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা হবে। এরপর সরকার তা কার্যকর করবে। তবে বিজয়ের মাসেই রায় কার্যকরের প্রত্যাশা করেছেন মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা।