৩০ হাজার দর্শকের করতালি আর গর্জনের মধ্যে দিয়ে বিকেল ৩টায় মাঠে গড়িয়েছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা দলের আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই গোল করে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করেছে এমিলিরা।
রাজশাহীর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথম মিনিটেই আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড়রা সেটা রুখতে গেলে কর্নার পায় লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। অধিনায়ক মামুনুল ইসলামের কর্নার কিক পেয়ে যান এমিলি। দারুণ এক হেড নেন। কিন্তু শ্রীলঙ্কার এস কুমারা গোললাইন থেকে বলটি রক্ষা করেন।
দ্বিতীয় মিনিটে আবারো কর্নার পায় সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা। কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে নিয়ে ডি বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েন মামুনুল। তাকে অবৈধভাবে ফেলে দেন শ্রীলঙ্কার সহ-অধিনায়ক এন রোশান। পেনাল্টির বাঁশি বাজাতে ভুল করেননি রেফারি মিজানুর রহমান।
পেনাল্টি থেকে গোল আদায় করে নেন এমিলি। গোল করেই গ্যালারির দিকে ছুটে যান দেশসেরা এই স্ট্রাইকার। হাত মেলান দর্শকের সঙ্গে। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে এটি এমিলির ১৮তম গোল। ম্যাচের ১৭ ও ২৪ মিনিটে আরো দুটি কর্নার পায় বাংলাদেশ। তবে তা থেকে কোনো গোল আদায় করে নিতে পারেনি মামুনুল-এমিলিরা।
২৮ মিনিটে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক সানজেওয়াকে মারাত্মক ফাউল করেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক রাসেল মাহমুদ। কিন্তু তাকে লাল কার্ড না দিয়ে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি মিজানুর রহমান। ৩১ মিনিটে ফ্রি কিক নেন শ্রীলঙ্কার তারকা খেলোয়াড় এন রোশান। কিন্তু তার ফ্রি কিকটি বারে লেগে ফিরে আসে। ঠিক একই রকম ফ্রি কিক থেকে যশোরের মাঠে গোল করেছিলেন তিনি। ৩৫ মিনিটে শ্রীলঙ্কা তাদের প্রথম কর্নার পায়। অধিনায়ক সানজেওয়া চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
৩৯ মিনিটে এমিলিকে ফাউল করায় ডি বক্সের বাইরে ফ্রি কিক পায় বাংলাদেশ। ফ্রি কিক নেন মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন। নিচু শট শ্রীলঙ্কার গোলরক্ষক প্রথম দফায় রুখতে না পারলেও পরের দফায় আয়ত্বে নেন। ফলে প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিশ্রামে যায় বাংলাদেশ দল।