মার্কিন অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা এফবিআই আমেরিকার জনগণের বিপ্লব ঠেকানোর কাজে তৎপর রয়েছে। মার্কিন লস অ্যাঞ্জেলস কাউন্টি কাউন্সিলের গ্রিন পার্টির সদস্য জ্যাক লিন্ডবার্গ এ কথা বলেছেন। ইরানের ইংরেজি নিউজ চ্যানেল প্রেসটিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন মার্কিন এই রাজনীতিবিদ।
স্মার্ট ফোনে গুপ্তসংকেতে মাধ্যমে তথ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা শক্তিশালী করা হচ্ছে বলে ঘোষণা করেছে অ্যাপেল ও গোগোলের মতো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো।
ফলে গুপ্তসংকেত ভেঙ্গে বা হ্যাক করে পুলিশ বা নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর পক্ষে তথ্য হাতিয়ে না নেয়া আর সম্ভব হবে না। প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর এ তৎপরতার কঠোর সমালোচনা করেছেন এফবিআই পরিচালক জেমস কোমেই। এ প্রসঙ্গে কথা বলতে যেয়ে আমেরিকায় এফবিআই’এর বিপ্লব ঠেকানোর তৎপরতায় জড়িত থাকার ব্যাপারে মন্তব্য করেন জ্যাক লিন্ডবার্গ । লিন্ডবার্গ বলেন, এখন নজরদারির স্বর্ণ যুগ চলেছে। প্রাইভেসির তোয়াক্কা না করার এবং প্রাইভেসি ভঙ্গ করার সর্বময় ক্ষমতা ভোগ করছে এফবিআই।
তিনি বলেন, বিশ্বে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে এবং আমেরিকায় এ কাজ করার অনুমোদন রাষ্ট্র দিয়েছে বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। এ নিয়ে আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গেও এফবিআই লুকোচুরি খেলছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, আদালতের বিনা সমনে এফবিআই বা পুলিশ এ ভাবে তথ্য হাতিয়ে নিতে পারবে না বলে রায় দিয়েছে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট।
তিনি জানান, আর এ অবস্থায় এফবিআই বলছে, আইন-শৃঙ্খলা বাস্তবায়নের কাজে নিয়োজিত সংস্থাগুলোর আওতার বাইরে কিছুই থাকা উচিত নয়। আমেরিকায় আবার এ সব সংস্থার শিকারের পরিণত হচ্ছে লাখ লাখ মানুষ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবাইকে কাপুরুষ বানিয়ে রাখতে, ভিন্নমত ধামাচাপা দিতে এবং আমেরিকার মানুষ যেনো বিপ্লব করতে না পারে তা ঠেকানোর চেষ্টা করছে এ সব সংস্থা।
তিনি বলেন, মানুষকে নিয়ন্ত্রণের অন্যতম একটি উপায় হলো তাদের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেয়া এবং ত্রাস ছড়িয়ে দেয়া।