ক্রমবর্ধমান চিপ ব্যবসা খাতে মূল্যযুদ্ধ নিয়ে ভীত নয় দক্ষিণ কোরীয় ইলেকট্রনিক পণ্য নির্মাতা কোম্পানি স্যামসাংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। আগামী বছর নাগাদ সেমিকন্ডাক্টর শিল্প খাতে মূল্য যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়বে বলেও মনে করেন না তিনি। তবে প্রতিযোগিতাপূর্ণ এ খাতের সঙ্গে খাপখাইয়ে নিতে এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদনক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। খবর রয়টার্স।
ইলেকট্রনিক পণ্যের পাশাপাশি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় চিপ নির্মাতা কোম্পানি স্যামসাংয়ের ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কোন উহু হায়েন সংবাদ মাধ্যম রয়টার্সকে জানান, আগামী বছর সেমিকন্ডাক্টর ব্যবসা খাতে যে পরিবর্তনের আশঙ্কা করা হচ্ছে, তার জন্য অপেক্ষমাণ স্যামসাং। এছাড়া সংশ্লিষ্ট খাতকে নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি জানান, ক্রমবর্ধমান এ খাতের সঙ্গে পেরে উঠার সব প্রস্তুতি রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।
সাম্প্রতিক সময় ডেস্কটপ ও ল্যাপটপ কম্পিউটারের চেয়ে তুলনামূলক ছোট ডিভাইসের চাহিদা বেড়েছে। এক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে স্মার্টফোন ও ল্যাপটপের মতো ডিভাইসগুলো। ফলে সংশ্লিষ্ট খাতে চিপের চাহিদা বাড়ছে উল্লেখযোগ্য হারে। এ কারণে প্রতিনিয়তই চিপ ব্যবসা খাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়ছে। চলতি বছর চিপ নির্মাতা কোম্পানিগুলো বিক্রির বিপরীতে প্রত্যাশার চেয়ে অধিক মুনাফা অর্জনে সমর্থ্য হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার চিপ উৎপাদন প্লান্টে ১ হাজার ৪৬৭ কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা নিয়েছে স্যামসাং। সংশ্লিষ্ট অনেকেই মনে করছেন, তুলনামূলক কম দামের চিপ এবং পর্যাপ্ত সরবরাহের কারণে এসকে হাইনিক্স ও মাইক্রোন টেকনোলজির মতো প্রতিদ্বন্দ্বী চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
বিশ্লেষকদের মতে, সংশ্লিষ্ট খাত ২০১৫ সাল পর্যন্ত সহনীয় অবস্থায় থাকবে। চিপ ব্যবসা খাতে স্যামসাংয়ের আগাম প্রস্তুতিতে নড়েচড়ে বসেছে সংশ্লিষ্ট অনেক প্রতিষ্ঠানই। অনেক প্রতিষ্ঠান এখন ডিভাইস উৎপাদন কমিয়ে চিপ নির্মাণের প্রতি অধিক মনোযোগ দিচ্ছে। বণিকবার্তা।