অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি তুরস্কে একটি পরিবারের সন্ধান পাওয়া গেছে, যে পরিবারের সবাই হাঁটার জন্য শুধু দুই পা নয়, দুই হাত আর দুই পা এক সাথেই ব্যবহার করে!
বিজ্ঞানীরা দক্ষিণ তুরস্কের হাতাই প্রদেশের এক প্রত্যন্ত গ্রামে উলাস নামের এই পরিবারের সন্ধান পেয়েছেন যে পরিবার চতুষ্পদ। এই পরিবারের কোনো সদস্য দুই পায়ে হাটতে পারেনা। তাদের হাটতে হলে দুই হাত ব্যবহার করে হাটতে হয়!
একদল বিজ্ঞানীর জানিয়েছেন ওই পরিবারটি না-কী মানুষের উল্টো বিবর্তনের উদাহরণ। কিন্তু এমনটা কেন হবে?
বিজ্ঞানীরা বলছেন, মানুষের বিবর্তন নানা পর্যায় দিয়ে এসেছে, অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন, মানুষের বিবর্তন হয়েছে বানর থেকে আবার কেও বলেন মাছ থেকে। তবে এই চতুষ্পদ পরিবার দেখে মনে হচ্ছে তারা বানরের মতই ভঙ্গি করে হাটছেন!
তুরস্কের ওই পরিবারটি মূলত পাঁচ ভাই বোনের। তাদের বয়স ১৮ থেকে ৩৪ এর মধ্যে। বিজ্ঞানীরা ২০০৫ সালে ওই পরিবারটি সম্পর্কে প্রথম জানতে পারেন। এরপর থেকেই বিজ্ঞানীরা এই পরিবারটি নিয়ে ব্যাপক গবেষণা শুরু করে।
গবেষণা শেষে বিজ্ঞানীদের দাবি করেন, এই পরিবারটি উল্টো বিবর্তনের উদাহরণ। শিম্পাঞ্জি বা হনুমান জাতীয় প্রাণী থেকে মানুষের উদ্ভব এই তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করেই বিজ্ঞানীরা এই দাবি করছেন।উলাস পরিবারের সদস্যদের জানান, তারা সব সময় তারা সোজা হয়ে থাকতে পারেনা, এই ক্ষেত্রে তাদের ভারসাম্য নষ্ট হয়। আর হাটার সময় তারা দুই পায়ে ভর দিয়ে হাটতে মোটেই পারেন না! তাদের এই ক্ষেত্রে অবশ্যই দুই হাত ব্যবহার করে চার পায়ে হাটতে হয়।
এ প্রসঙ্গে গবেষক উনার টানের বলেন, এই পরিবারটি হাঁটা সংক্রান্ত এক প্রকার রোগে আক্রান্ত। কারণ তাদের ভাষা এবং মস্তিষ্কের গড়ন আর দশজন স্বাভাবিক মানুষের মতোই। তাদের চিন্তা চেতনাও স্বাভাবিক।