Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

argentina-brazil

আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলতে এশিয়া সফর করছে লাতিন আমেরিকার দুই ফুটবল পরাশক্তি ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। শনিবার আমেরিকান সুপার ক্লাসিকোতে মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। আজ আবারো মাঠে নামছে দল দুটি। তবে একে অপরের মুখোমুখি হতে নয়। নিজ নিজ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪.৪৫ মিনিটে ব্রাজিল মুখোমুখি হবে এশিয়ার ফুটবল পরাশক্তি জাপানের বিপক্ষে। অন্যদিকে সন্ধ্যা ৬টায় হংকংয়ের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। ম্যাচ দুটি সরাসরি সম্প্রচার করবে টেন অ্যাকশন ও টেন স্পোর্টস।

chardike-ad

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনাকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে ব্রাজিল। অন্যদিকে জাপানও কার্লোস দুঙ্গার দলকে হারিয়ে দিতে প্রস্তুত। তবে এশিয়ার দল হংকং আজ ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে। কারণ, শক্তিশালী আর্জেন্টিনা এবারই প্রথম হংকংয়ের বিপক্ষে খেলছে। আর্জেন্টিনার মতো দলের বিপক্ষে খেলাটা তাদের জন্য অনেক পাওয়ার। তবে হংকংয়ের বিপক্ষে দারুণ এক জয় তুলে নিয়ে জয়ের ধারায় ফিরতে চায় টাটা মার্টিনোর দল।

জাপানের বিপক্ষের ম্যাচে ব্রাজিল দলে নেই রক্ষণভাগের তারকা খেলোয়াড় ডেভিড লুইস। ইনজুরির কারণে আজ তার খেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ। অন্যদিকে জাপান দলেও নেই তারকা খেলোয়াড় শিনঝি কাগাওয়া। মাথার ইনজুরির কারণে তিনিও খেলতে পারছেন না আজ। জাপান-ব্রাজিল উভয় দলই তাদের শেষ ম্যাচে জয় পেয়েছে। গেল শুক্রবার জাপান ১-০ গোলে হারিয়েছে জ্যামাইকাকে। শনিবার ব্রাজিল ২-০ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনাকে। তাই উভয় দলের দারুণ এক লড়াই দেখার প্রতীক্ষায় ফুটবল ভক্তরা।

নির্ভার জাপান কোচ জাভিয়ের আগুইরো বলেন, ‘বরাবরের মতোই আমি নির্ভার। ম্যাচের ফল কখনোই আমাদের পারফরম্যান্সের প্রতিফলন নয়। জ্যামাইকার বিপক্ষে আমাদের চারটি দারুণ সুযোগ ছিল। কিন্তু সেগুলো আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। দল যেভাবে খেলেছে তাতে আমি সন্তুষ্ট। কিন্তু ম্যাচের ফল আমাকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। তারপরও আমি মনে করি জ্যামাইকার বিপক্ষে আমরা যেভাবে খেলেছি সেভাবে খেলতে পারলে ব্রাজিলের বিপক্ষেও আমাদের ভালো করার সুযোগ থাকবে। জ্যামাইকার বিপক্ষে আমরা গোলমুখে ২০টি শট নিয়েছিলাম। আজ ব্রাজিলের বিপক্ষে ভালোমতো একটি নিতে পারলেই হবে। আমাদের সেটা দরকারও।’

আর্জেন্টিনার নতুন কোচ টাটা মার্টিনো দায়িত্ব নিয়েই আলোচনায় উঠে আসেন। বিশ্বকাপের ফাইনালে যে জার্মানির কাছে তারা ১-০ গোলে হেরেছিল, সেই জার্মানিকেই তাদের মাঠে ৪-২ গোলে হারিয়ে দিয়ে হইচই ফেলে দেন তিনি। ওই ম্যাচে অবশ্য মেসি ছিলেন না। কিন্তু ব্রাজিলের বিপক্ষে মেসি থাকলেও তারা জয় তুলে নিতে পারেনি। আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের ভুলে ও দারুণ কিছু সুযোগ কাজে লাগানোর ব্যর্থতাই হারের স্বাদ দিয়েছে মেসিদের। তবে এই হারকে তারা শেখার প্রক্রিয়া হিসেবেই নিতে চায় এবং আজকের ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াতে প্রস্তুত। ব্রাজিল-জাপান ও আর্জেন্টিনা-হংকং। লাতিন ও এশিয়ার লড়াই কেমন জমে, সেটাই দেখার প্রতীক্ষায়।