ডিজিটাল ক্যামেরা, স্মার্টফোনে নিজের ছবি তুলে তা ফেসবুক, টুইটারে শেয়ার করে অন্যের মতামত পেতে আগ্রহী রত্না। এটাই সেলফি। কিন্তু রত্নার আপলোড করা সেলফিতে তেমন লাইক পড়ে না, বাড়ে না ফলোয়ারের সংখ্যা। কারন তার সেলফি আকর্ষনীয় হয় না।
রত্নার মতই বেশির ভাগ মানুষ ঠিকঠাকভাবে সেলফি তুলতে পারেন না। সেলফিতে যদি নাক কেটে যায়, চুল না আসে কিংবা মুখ সোজা আসে, তবে সেটা দেখতে ভালো লাগে না। সেলফি তোলার সময় যে বিষয়গুলো অবশ্যই খেয়াল রাখবেন:
# অনেকেই সোজা হয়ে সেলফি তোলেন। কিন্তু এটা জনপ্রিয় না। মনে রাখবেন,সেলফির সৌন্দর্য বাঁকা ঘাড়ে। প্রথমে ঘাড়টা ৪৫ ডিগ্রি কোণে বাঁকিয়ে নিন।
# নাকটা সামান্য কুঁচকাতে পারেন। আপনার ক্ষমতানুযায়ী চোখের মণির অবস্থান ঠিক করে নিন। মুখটা একটু বাঁকা করলে ভালো হয়। মুখ এমনভাবে বাঁকা করবেন যেন আপনাকে দেখতে মিষ্টি লাগে। এজন্য প্রথমে আয়নার সামনে প্র্যাকটিস করে নিতে পারেন। মনে রাখবেন, সেলফিতে চোখ উল্টানো একটি বিশেষ ব্যাপার। এটা সেলফিকে আরও আকর্ষণীয় এবং সুন্দর করে।
# পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ডার্ক ফেসওয়ালা সেলফিগুলোতে লাইকের পরিমাণ বেশি। অতএব আপনি কেন এটা চেষ্টা করবেন না?
# ছবি তোলার সময় অবশ্যই ক্যামেরা ডান হাতে রাখবেন। এতে করে ক্যামেরা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সেলফি তোলার ক্যামেরা ওজনে যত হালকা হবে, তত ভালো। অনেকেই ডিএসএলআর ক্যামেরা দিয়ে সেলফি তোলেন, এটা সেলফির জন্য ভালো নয়।
# ডান হাত সামনে টেনে ক্যামেরা নিজের দিকে ধরুন। নিয়ম অনুযায়ী মুখের অভিব্যক্তি পরিবর্তন করে তাকিয়ে থাকুন ক্যামেরার দিকে। তারপর শাটার চাপুন।
# আলোর বিষয়ে সচেতন থাকবেন। সেলফির গুণগত মান ঠিক রাখতে আলোর ঔজ্জ্বলতার দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
# তিন-চতুর্থাংশ আলো পদ্ধতি মেনে চলুন। এতে ছবি একটু পাশ থেকে নিতে হয়। ফলে তার বিপরীতে কিছু ছায়া পড়ে। ছবি কিছুটা পরিষ্কার বোঝা যায়।
# আলোর উৎস সরাসরি পেছনে রেখে সামনে থেকে ছবি তোলা আরেকটি কার্যকর পদ্ধতি। তবে ক্যামেরা ও আলোর মাঝখানে আপনাকে থাকতে হবে।
# অসংখ্য অ্যাপস রয়েছে যা দিয়ে তোলা ছবিটিকে এডিট করতে পারেন। এসব অ্যাপ ব্যবহার করে বাজে ছবিটিকে অনেকটা ঠিকঠাক করে ফেলা যায়। ভালোমতো এডিট করতে পারলে বোঝাই যাবে না ছবিটি এডিট করা হয়েছে।
# ফোনের পেছনের ক্যামেরাটিও সুযোগমতো ব্যবহার করুন। এটি দিয়ে বন্ধুদের ছবি তুলে ফেলুন। কারণ পেছনের ক্যামেরাটিই মূল ক্যামেরা এবং এতে ছবি অনেক ভালো আসে।
# যদি আইফোন ৫ থাকে তবে এর মূল ক্যামেরার ছবির কোনো তুলনাই চলে না। এই ফোনের পেছনের ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলাটা সহজ। কারণ এর ভলিউম আপের বাটন দিয়ে ছবি তোলা যায়।
# ভালো হলে ব্যাকগ্রাউন্ডের ছবি তুলতে ভুল করবেন না। এতে ছবিটি ভিন্ন নান্দনিকতা পাবে। ছবিতে আপনার মতো ব্যাকগ্রাউন্ডও গুরুত্বপূর্ণ।
# ব্যাকগ্রাউন্ড ভালো হলে আপনার সামনের চেহারাটি একটু উজ্জ্বল করে দিন। এতে ব্যাকগ্রাউন্ড স্পষ্ট হয়ে উঠবে এবং ছবিটি আবেদন ভিন্নরকম হবে।
# সেলফি তোলার আগে অবশ্যই মনে রাখবেন, সেলফিতেই আপনার সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা তৈরি হতে পারে। নিজের মানসিক শক্তি বৃদ্ধির একটি উপায়ও হতে পারে এটি। তাই নিজের আত্মবিশ্বাসকে এবং নিজের গুরুত্বপূর্ণ কিছু মুহূর্তকে স্মরণ করতে আমরা সেলফিতে ক্লিক করব সচেতনভাবেই।